রাজশাহী হাসপাতালের ২ চিকিৎসকসহ ৬ জন কোয়ারেন্টিনে
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডে মারা যাওয়া রবিউল ইসলামকে (৪৫) ভর্তির সময় করোনা আক্রান্তের বিষয়টি গোপন স্বজনরা। ফলে ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা তার সংস্পর্শে আসেন।
বিষয়টি জানার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ওয়ার্ডের দুইজন চিকিৎসক, তিনজন নার্স ও একজন ওয়ার্ড বয়কে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে। রামেক হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চত করেন।
মৃত রবিউল ইসলামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে। তিনি পেশায় একজন ফল ব্যবসায়ী। ব্যবসায়িক কাজে তিনি বিভিন্ন সময় নিজ এলাকার বাইরে চলাফেরা করেছেন।
ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, রবিউল ইসলামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। স্বজনরা বুধবার তাকে হাসপাতারে নিয়ে আসে। রোগী আগেই মারা যায়। প্রথমে রোগীর স্বজনরা জানায়নি রবিউল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ভর্তি হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় রবিউলের নমুনা ঢাকার ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। ফলাফল করোনা পজেটিভ আসে।
উপ-পরিচালক আরও জানান, এই মুহুর্তে রোগীরা তাদের রোগ লুকালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিপদ। সেই সাথে হাসপাতালে আসা অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।
রবিউলের লাশটি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষকে ধোয়ানো ও জানাজার ব্যবস্থার করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অনুরোধ জানান হয়।
রাজশাহীর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টরের বলেন, রামেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত রোগীটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলো বলে হাসপাতাল থেকে আমাদেরকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করতে বলা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশটি গোসল করিয়ে ও জানাজা পড়িয়ে দেয়া হয়। এর পর স্বজনরা লাশ নিয়ে গিয়ে চাঁপাইনবাবঞ্জে দাফন করে।
378