পবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হামলাকারি মাদক ব্যবসায়ী নজরুল আটক

প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২০; সময়: ৫:৫১ অপরাহ্ণ |
পবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে হামলাকারি মাদক ব্যবসায়ী নজরুল আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজিয়া বেগমের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকারি নজরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার বিকালে রাজশাহী আদালত চত্তর থেকে তাকে আটক করা হয়। সে মামলার প্রধান আসামী।

এ নিয়ে তিনজন আসামীকে আটক কর্ণহার থানা পুলিশ। আটককৃত আসামী হলো- মোল্লা ডাইং গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে হবিবর রহমান ও শিশাপাড়ার মৃত আদম আলীর ছেলে তফিকুল ইসলাম।

মামলা থেকে জানা গেছে, একতা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও পবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরজিয়া বেগম তার সমিতির অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সাংবাদিকরা ম্যাডাম কথা আছে বলে দাঁড়াতে বলেন। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার প্রস্তুতিকালে তার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এতে তিনি মারাত্মক জখম হন। পাশাপাশি তারা একটি মোবাইল ফোন, গলায় থাকা ৬০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ও সমিতির রক্ষিত তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আহতের ছেলে মোশাররফ হোসেন নয়ন বলেন, তার মাতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা এবং শ্বাসরোধ মেরে ফেলার চেষ্টা করে তারা। শেষে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

এ ব্যাপারে কর্ণহার থানায় আহতের ছেলে মোশাররফ হোসেন নয়ন আট জনকে আসামী করে মামলা করে। মামলায় আসামীরা হলো, মোল্লা ডাইং গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম ও নওশাদ আলী, নওশাদের ছেলে রনি, মৃত সাত্তারের ছেলে আশরাফ আলী, মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে হবিবর রহমান, মৃত ফকির মোহাম্মদের ছেলে পিয়ারুল ইসলাম, শিশাপাড়ার মৃত আদম আলীর ছেলে তফিকুল ইসলাম।

আসামীরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। আসামী নজরুল ইসলাম, রনি ইসলাম ও আশরাফ আলীর নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও আসামী নওশাদ আলীর নামে নারী অপহরণের ও হবিবুর রহমানের নামে মারপিটের মামলা রয়েছে।

এদিকে মারাত্মক জখমকৃত পবা উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান আরজিয়া বেগমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান চেয়ারম্যান মুনসুর রহমান। তিনি চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। পাশাপাশি তিনি হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।

অপরদিকে এই মামলায় কর্ণহার থানা কর্তৃক প্রদেয় ধারাগুলোতে জনমনে গুঞ্জন উঠেছে। তারা বলছেন থানা যে ধারাগুলো দিয়েছে তাতে ভিকটিম সঠিক ও ন্যায্য বিচার পাবে না। ধারাগুলো জামিনযোগ্য বলে সচেতনমহল মনে করেন। ঘটনাটি শিশু ও নারী নির্যাতনের আওতায় পড়লেও এখানে সাধারণ ধারা সংযুক্ত রয়েছে। তবে সচেতনমহল এও মনে করেন তদন্ত সাপেক্ষে আইও ধারাগুলো পরিবর্তন করতে পারেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে