বাঙ্গালী হায়েনা
জোনাকির নিভে-জ্বলা আলোয়
দেখবে দেশ, তাই ওরা মেতেছিল-
ঘাপটি মেরে থাকা সৈনিক নামের
একদল কাপুরুষ।
স্বাধীন দেশে পাকিস্তানের হারানো
বদলা নিতে উদ্যোত তারা-
বাঙলার সুর্যের তাপ ও আলো
নেভাতে ওরা দিশেহারা।
সুর্যের আলো তো বটেই, চাঁদের
জোষনাও পেতে চাই না ওরা-
বিশ্বাসঘাতক একদল বিপথগামী
বাঙ্গালী হায়েনা।
একদিন সীমার, ধর্মের লেবাস উড়িয়ে
রক্তাক্ত কারবালা, অতঃপর মীর জাফরও
হেরেছে এদের কাছে।
স্বাধীন দেশের জনকের রাখবে না নিশানা-
সহিংসতায় নির্বিকার হার মানে বিশ্ব।
৭৫’র ১৫ আগষ্ট বিভীষিকাময় রাত-
৩২ নম্বর বাড়ি, উদরে বাংলাদেশ-
আজন্ম শত্রুর বাসনা, বিদীর্ণে
মানচিত্রের অকুতভয় সৈনিক-
কলঙ্কিত অধ্যয়, উল্লাসে ডালিম-রশিদ।
তখনো কোটি মানুষের দীপ্ত-উজ্জল
বাংলাদেশ, শুয়ে আছেন মেঝেতে;
তাজা রক্ত গড়িয়ে জানান দিচ্ছে-
এ রক্ত কোন আজ্ঞাবহের নয়,
নয় কোন অস্ত্রধারি অপবিত্রের-
এ রক্ত বিশ্বাসের, এ রক্ত আশ্বাসের
এ রক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মার।
৫৫ হাজার বর্গ মাইলের একদল
প্রকান্ড দানব, দিশেহারা পথভ্রষ্টের
লিপ্সা ও তাবেদারি শিরায় শিরায়।
নৃশংস কালোরাতে বিশ্ব বিবেক স্তম্ভিত,
বঙ্গে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির খতিয়ান শুন্য।
খুন হলো বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার,
শহীদ শেখ জামাল-কামাল, সাথে
স্ত্রী সুলতানা-পারভীন রোজী
মেহেদীর আল্পনা তখনও হাতে-
লুকিয়েও বাঁচতে পারেনি
আদরের ছোট্টমনি শেখ রাসেল।
এখানেই শেষ নয়, তাদের মারোনাস্ত্রে
সমাধিতে ঠাঁই হলো আব্দুর রব, আরিফ
শহীদ, বেবী, রিন্টু, ফজলুল মনি,
অন্তঃসত্বা আরজু, অবুঝ সুকান্ত।
শহীদের রক্তে ভেজানো পতাকা,
আর মানচিত্রে খদিত হলো; বিংশ
শতাব্দির এক কলংকিত অধ্যয়।
এত বারুদ, এত খুন, এত শহীদ-
ধিক ধিক কৃতঘ্নদের, আজন্ম কৃতদাসের-
বাঙালার কোটি হৃদয়ে জীবিত মহানায়ক,
উচ্চ শিরে মরনেও বঙ্গবন্ধু
মুজিব’রঁ নতুন বিজয়।
কবি-মাহবুব দুলাল