বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় সবাই খালাস

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০; সময়: ১:৫৪ অপরাহ্ণ |

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রায় তিন দশক আগে ভারতের বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লালকৃষ্ণ আদভানিসহ ৩২ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছে উত্তর প্রদেশের একটি আদালত।

বুধবার লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ওই ঘটনা ‘পরিকল্পিত ছিল না’।

অভিযুক্তরা মন্দির ভাঙায় বাধা দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর হিন্দু ‘করসেবকরা’ অযোধ্যার ৫০০ বছরের পুরনো মসজিদটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন।

স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় রায় ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। সোয়া ১১টা পর্যন্ত ২৬ জন অভিযুক্ত আদালতে হাজির হন।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বয়স ও স্বাস্থ্যগত কারণে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়া থেকে নিষ্কৃতি পান বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলিমনোহর যোশী, সাবেক মন্ত্রী উমা ভারতী, কল্যাণ সিং, সতীশ প্রধান এবং রামমন্দির ট্রাস্টের প্রধান নৃত্যগোপাল দাস। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তারা আদালতে হাজিরা দিলেও যোশী যোগ দেননি।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজেপির কল্যাণ সিং।

অভিযুক্তরা মন্দির ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উস্কানিতে যুক্ত ছিল, এ বিষয়ে যথাযথ প্রমাণ না থাকায় বিচারক সবাইকে খালাস দিতে বাধ্য হন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

১৯৯০-র দশকের শুরুর দিকে বিজেপি নেতা আদভানির ধারাবাহিক রথযাত্রা আয়োজনের এক পর্যায়ে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের হাতে মসজিদ ধ্বংসের এই ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনার জেরে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ওই সময় ভারতে প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয় আর দেশটির রাজনৈতিক ভারসাম্য ওলটপালট হয়ে যায়।

মসজিদ ধ্বংসের সময় আদভানি, যোশী ও ভারতী নিকটবর্তী একটি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকারী সংস্থাগুলো বলেছে, তারা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে উপস্থিত লোকজনকে প্ররোচিত করেছিলেন।

এই মামলার মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ইতোমধ্যেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অশোক সিংঘল, শিবসেনার বাল ঠাকরে, অযোধ্যার পরমহংস রামচন্দ্র দাসসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত ছিলেন ৩২ জন, তারা সবাই বেকসুর খালাস পেলেন।

মুঘল সম্রাট বাবরের নামে প্রতিষ্ঠিত ১৫ শতকের ওই মসজিদটি সম্রাটের সেনাপতি মীর বাকি নির্মাণ করেছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে। মসজিদ নির্মাণের স্থানটিকে রামে জন্মভূমি বলে দাবি করে আসছেন অনেকে। একটি পুরনো মন্দির ভেঙে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে তাদের অভিযোগ।

গত নভেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে মসজিদের ওই জায়গায় একটি মন্দির নির্মাণ করার অনুমতি দিয়েছে।

  • 13
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে