চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোরস্থানে বাড়ী নির্মাণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২১; সময়: ৮:৫৩ অপরাহ্ণ |
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোরস্থানে বাড়ী নির্মাণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় গোরস্থানে বাসতবাড়ী নির্মাণের প্রতিবাদে জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ইউএনও, ভূমি কর্মকর্তাকে বিবাদি করা হয়েছে। এ ছাড়াও করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলন।

জানাগেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। জমিদারী শাসনামলে জমিদার তরঙ্গিণী জাতির মোখিক দান সূত্রে গোরস্তানের জন্য ৩.১১ একর জমি বরাদ্দ করা হয়। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে আজ অবধী মরদেহ দাফন কাজ সম্পন্ন করে আসছে এলাকাবাসী। এমনকি ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকল বেওয়ারিশ লাশ দাফনও করা হয় এ গোরস্থানে।

এমনি অভিযোগে মুসলমানদের জন সাধারণের ব্যবহার্য গোরস্থানে বাসতবাড়ী নির্মাণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে গোরস্থান কমিটির সদস্যবৃন্দরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

১৭ জানুয়ারী রোববার বেলা ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশ্বরোড মোড়ে মডেল প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনটি হয়। চরধরমপুর গোরস্থানের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মোহাম্মদ আইজুউদ্দিন।

লিখিত বক্তব থেকে জানা যায়, জোর পূর্বকভাবে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মসিউর রহমান আমাদের গোরস্থানে ১৪টি টিনের বসতবাড়ী নির্মাণের জন্য সকল কাজ চলমান আছে। বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য আমরা গোরস্থানে কবর দিতে পারিনা।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ২১ নভেম্বর গোরস্থানের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চরধরমপুর এলাকার মৃত মাজেদ আলীর ছেলে সোলেমান করিম বাদি হয়ে ভোলাহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান ও ভোলাহাট সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মেহেদী ইসলামসহ ইউপি উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে বিবাদী করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

আরও জানা গেছে, উল্লেখিত স্থানে ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও ভোলাহাট ইউএনও মশিউর রহমান সেখানে সৌর-বিদ্যুৎ স্থাপন করেছে।

গত ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসক, চাপইনবাবগঞ্জ ২ আসনের সাংসদ, ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ভোলাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর অনুলিপি দিলেও পরিত্রান মেলেনি গোরস্থানের সমত্তি দখলদারের হাত থেকে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. বজলুর রশিদ।

অভিযুক্ত ভোলাহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, রেকর্ডও জমি আছে গোরস্থানের নামে।

তিনি আরও জানান, গত দীর্ঘদিন থেকে গোরস্থান কোন মরদেহ দাফন করা হয়নি। খাস জমি দখল করে যারা বসবাস করছিলো তাদেরকে উচ্ছেদ করার পর সেই পরিত্যক্ত গোরস্থানে বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে