নাটকিয়তার পর নওহাটায় হাফিজকে নতুন মেয়র ঘোষণা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১; সময়: ১০:১৪ অপরাহ্ণ |
নাটকিয়তার পর নওহাটায় হাফিজকে নতুন মেয়র ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভায় নানা নাটকিয়তার পর মেয়র পদে হাফিজুর রহমান হাফিজকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ছিলেন। রাত ১০টার পর ভোটের ফলাফলে হাফিজকে নতুন মেয়র ঘোষণা করে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, হাফিজুর রহমান হাফিজ তার নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৫১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৮৬ ভোট। এছাড়াও এ পৌরসভায় বিএনপির মনোনিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোকবুল হোসেন তার ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২৭৯ ভোট।

জানা গেছে, পৌরসভার বাগধানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট শেষ হলে কেন্দ্রে হামলা করে ঘটনা ঘটে। এর পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্যালট বাক্সগুলো নিয়ে যায়। পরে ভোট গনণা করা হয়। এ কারণে ভোটের ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হয়।

এ পৌরসভায় একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে হাতবোমার বিস্ফোরণসহ আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গাড়ি ভাংচুরের মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহন করা হয়। আহত হয়েছেন এক সাংবাদিক। রোববার বেলা ১১টার দিকে নওহাটা পৌরসভার বাগধানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এতে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।

বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল বারী খান অভিযোগ করেন, নৌকার সমর্থকেরা বহিরাগতদের নিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল নিতে এসেছিলেন। প্রথমে তাঁরা কেন্দ্রের বাইরে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এরপর ইটপাটকেল মারতে থাকেন। রামদা দিয়ে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বেলা ১১টার দিকে নৌকার মিছিল নিয়ে আসেন একদল মানুষ। তাঁদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। এ সময় তাঁরা কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে ভোট দিতে আসা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে এ ঘটনায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের ক্যামেরাপারসন জসিমউদ্দিন আহত হয়েছেন। তাঁর মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে। জসিম বলেন, তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রদ্যুৎকুমার প্রামাণিক বলেন, বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ কিছু লোক কেন্দ্রের বাইরে আসেন। তাঁরা কেন্দ্রের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী এতে প্রতিরোধ করেন। পুলিশ প্রশাসনও চলে আসে। এ ঘটনায় ৪০ মিনিটের মতো ভোট বন্ধ ছিল। বেলা ২টা পর্যন্ত ১ হাজার ৬৯৫ ভোটের মধ্যে ৫৫ শতাংশের মতো ভোট গ্রহণ হয়েছে। লোকজন ভয়ে চলে গেলেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আবার ভোট দিতে চলে আসেন।

কেন্দ্রের বাইরে একটু ঝামেলা হয় বলে জানান রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কারও গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি তিনি জানেন না। এ ঘটনায় কেউ আটকও হননি।

  • 419
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে