পুঠিয়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হিসাব কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২১; সময়: ৪:১৩ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হিসাব কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পুঠিয়ার উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চুর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৯ মে চেয়ারম্যান বাচ্চু তার নিজ মোবাইল থেকে এই হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন আবুল কালাম।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৯ মে) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে পুঠিয়ার উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ তার নিজ কর্মস্থলে ছিলেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান তার নিজস্ব ০১৭১২-৬৪৮৪৩২ নম্বর মোবাইল থেকে ফোন করে আবুল কালাম আজাদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে আমাকে খুন জখম করার হুমকি দেয়। এ সময় সে আমাকে আমার কর্মস্থলে চাকরি করতে দিবে না বলেও ভয়ভিতি দেখায়। এ ঘটনায় ওইদিন তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

পুঠিয়ার উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান যখন তাকে হুমকি দেয় তখন তার চেম্বারে ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনার পর সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ডিভিশন কন্ট্রোলার অব একাউন্স, ঢাকা এডিশনাল সিজিও, অফিসার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ পরিচিতজনদে জানায়।

জনপ্রতিনিধির এমন হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দাবি করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিল পাস কে কেন্দ্র করে এর আগেও তিনি বিভিন্ন লোক মারফত আমাকে হুমকি দেয়। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান সরকারি এই কর্মকর্তা।

পুঠিয়া থানার ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী বলেন, অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হত্যার হুমকি দেয়ার বিষয়টি অভিযোগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু বলেন, আমি কি খুনি যে তাকে হত্যার হুমকি দিব?

তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তা একজন ঘুষখোর। শিক্ষকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারিরাও তার কাছে জিম্ম। টাকা ছাড়া তিনি কোন কাজ করেন না। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা দিনের পর দিন হয়রানির স্বীকার হন। আবার ঘুষ দিলে কাজ হয়।

তিনি বলেন, বিল নেয়ার জন্য একজন ইউপি মেম্বার তার কাছে গিয়েছিল। তাকে বিল না দিয়ে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। আমি তার কাছে মোবাইল করলে তিনি বলেন কে বলছেন। আপনারাই বলুন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কাছে উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম্বর থাকে না। এ জন্য তাকে গালাগালিজ করেছি বলে দাবি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

  • 166
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে