রাজশাহীতে ৪০ ভাগ আম গাছে’ দুশ্চিন্তায় চাষিরা

প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২১; সময়: ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ |
রাজশাহীতে ৪০ ভাগ আম গাছে’ দুশ্চিন্তায় চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত মঙ্গলবার রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট বানেশ্বর। সারি সারি ভ্যানে আম নিয়ে বসে আছে চাষী ও ব্যবসায়ীরা। হাটে ডুকতেই দেখা গেল’ এক ভ্যান গাড়িতে ওজনে একেকটা আম প্রায় এক কেজির মত! দেখতে অনেকটা ছোটখাটো কুমড়োর মত হওয়ায় এই আমের আঞ্চলিক নাম কুমগা জালি। দুর্গাপুরের হানিফের বিশেষ জাতের এই আম দেখতে বাজারে উৎসুক মানুষের ভীড় থাকলেও, নেই ক্রেতা। বানেশ্বরের আফাজ আলির আম বাগানে এখনও মজুদ অন্তত হাজার মন আম।

উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ খরচই তুলতে পারেননি আম বিক্রি করে। এরমধ্যে দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষনায় কপালে চিন্তর ভাঁজ। কথা হয় আরো কয়েকজনের আম ব্যবসায় সংশ্লিষ্ঠদের সাথে। সাথে আম বাগানীরা বলছেন,ল্যাংড়া শেষের দিকে। আম্প্রপালি ও ফজলি উঠছে। আশ্বিনা ও বারি-৪ মাত্র পক্ক হচ্ছে। এমন অবস্থায় সারাদেশে ঘোষিত লকডাউন আর ঈদের ছুটি তাদের জন্য ক্ষতি।

এদিকে রাজশাহীতে বিক্রির অপেক্ষায় ল্যাংড়া, আম্্রপালি, ফজলির মত ৪০ ভাগ আম এখনও গাছে। করোনা প্রকোপ কমাতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে কঠোর লকডাউনের। আম বাণিজ্য সংশ্লিটরা বলছেন, মৌসুমের শুরু থেকেই বাজার নি¤œমুখী। আসছে লকডাউনে আম ব্যবসা নিয়ে দুঃচিন্তার শেষ নেই তাদের। ব্যবসায়ীরা আরো বলছেন, লকডাউনে ঘরবন্দী থাকে বেশীরভাগ ভোক্তারা। সেকারনে বিশেষ ব্যবস্থায় বাজার কিম্বা আম পরিবহণ চালু থাকলেও তাতে খুব বেশী সুবিধে হয় না।

পুঠিয়ার চন্দন কুমার পাল গত তিন বছর থেকে তিনি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আম পাঠাচ্ছেন, অন্য বছর গুলোতে শত শত মণ আম পাঠালেও এ বছরে অর্ডার কম পেয়েছেন। তিনি জানান, বাইরের পাইকার কম আসায় এবার আমের ব্যবসায় একটু সমস্যা হয়েছে। গত বছরের মত আমের ব্যবসা হয়নি শুধু বাইরের পাইকার কম থাকায়। আমার কিছু গাছে এখনো আম রয়েছে সেগুলো নিয়ে একটু চিন্তায় আছি’।

কৃষি বিভাগ ও ফল গবেষকরা বলছেন, এখনও বাগানে ৪০ ভাগ আম। সরকার নিশ্চয় এ বিক্রিতে উদ্যোগী হবেন। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন জানান, এখনো বাগানে প্রায় ৪০ ভাগ আম রয়েছে। অনেক আম গাছে পেকে যাচ্ছে। আজ থেকে লকডাউন হওয়ায় গাছে পাঁকলেও চাষীরা লকডাউনের পরে আম নামাবেন। এতে তো কিছুটা ক্ষতি হবেই। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে আমাদের তা মেনে নিতে হবে। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান,‘ আমের জন্য শুধু কুরিয়ার খোলা রয়েছে। সেখানেই আমের কার্যক্রম চলছে। তবে বাইরের পাইকাররা এখন আম কিনছে না। এই কয়েকদিন মহামারীর জন্য সবাইকে জাতীয় স্বার্থে তা মেনে নিতে হবে।

  • 29K
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে