দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত কমেছে

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১; সময়: ৬:৫৮ অপরাহ্ণ |
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত কমেছে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর হাসপাতালে ৯৯ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ১৩ জন রোগী ভর্তি হন। এ নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এমন রোগীর সংখ্যা ৭৬৮ জন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৮৩ জন।

বুধবার (২০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা গেছে, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৭৬৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৫৯৩ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ভর্তি হওয়া ১১২ জন রোগীর মধ্য রাজধানীর সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ৩৭ জন ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৬২ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগের হাসপাতালে ভর্তি হন ১৩ জন।

১ জানুয়ারি থেকে আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা ২১ হাজার ৮৩৭ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ হাজার ৯৮৬ জন। এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে জুলাইয়ে ১২ জন, আগস্টে ৩৪ জন, সেপ্টেম্বরে ২৩ জন এবং ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়।

প্রতিবছর বর্ষাকালেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছিল।

ডেঙ্গু প্রকোপের এ সময়ে বাসাবাড়িতে অব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রে পানি জমতে না দেওয়াসহ দিনে ও রাতে মশারি টানানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেজ্ঞরা।

দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান। তবে সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৭৯। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ওই বছর সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ:
১। প্রচণ্ড জ্বর
২। তীব্র মাথাব্যথা
৩। বমি
৪। শরীরে লাল র‍্যাশ ওঠা
৫। মাংসপেশীতে ব্যথা
৬। চোখের পেছনে ব্যথা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়:
১। মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করা।
২। ঘর ও আশপাশের যে কোনো পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা যাতে এডিস মশার লাভা বিস্তার না করতে পারে।
৩। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারকেলের মালা, কনটেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল ইত্যাদি প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা; যাতে এডিস মশা বিস্তার না করতে পারে।
৪। রাতে বা দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা।
৫। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ স্থাপন করা।
৬। মশা নিধনের ওষুধ, স্প্রে কিংবা কয়েল ব্যবহার করা।
৭। জানালাতে মশা প্রতিরোধক নেট ব্যবহার করা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে