কালরাত
৫২-তে পারেনি তারা।
রাগ, ক্ষোভ আর জিঘাংসার আগুনে
অহেতুক পুড়ছে- ছুতো খুঁজেছে
জবাব দেবার।
৭১-এ পারবে এমন ভরসা
ছিল না তাদের, ইতিহাস এখনো
সাক্ষী দেয়, তারা কখনোই হয়নি জয়ী।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, প্রাপ্য থেকে
প্রাপ্তির। অতঃপর, উজ্জীবনী ভাষণে
সঞ্জিবনী গ্রহণে বাঙালি।
শহর থেকে গ্রামে। গ্রামের মেঠোপথে
ছড়িয়ে পড়ে স্বাধীনতার চেতনা আর
বিশ্বাস। লেখকের লেখনিতে, কবির
ছন্দে, শিল্পীর তুলিতে একটি স্বাধীন
বাংলাদেশ।
এলো ৭১, ২৫ মার্চ রাত। বিগত দিনে
অনেক রক্ত শোষণ করেছে তারা,
নিরস্ত্র বাঙালির সমুখে পাকিস্তানী
শকুনের দল। অতঃপর বিশ্ব সভ্যতার
ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়,
রক্ত শোষণের পালা।
তাণ্ডব ও লুটতরাজ, ধ্বংস
আর ধর্ষণÑহত্যাই ওদের নেশা।
নরপিশাচের দল একটি নয়,
দুটি নয়Ñ হাজারে হাজার।
খুন হলো শিশু-বৃদ্ধ স্বাধীনতাকামী।
সেদিনের ভয়াল রাত থেকেই শপথ
নিলো বীর বাঙালি, মাতৃভূমি রক্ষায়।
উদিত হলো সোনালী সুর্য, সূচিত
হলোÑ খোদিত হলো স্বাধীনতার;
জন্ম হলো নতুন একটি মানচিত্র,
হানাদার বাহিনীর বিভৎসতায়।
লেখক-
মাহবুব দুলাল
কবি, সাংবাদিক ও কলামিস্ট