অম্লান নক্ষত্র এক
একটি বিমর্ষ রাত, অসংখ্য নক্ষত্রের
গ্যালাক্সি, ছায়াপথ প্রলয়ে বিধ্বস্ত
মহাধ্বংসযজ্ঞ নৃশংস ভয়াল কালো রাত
এক বাংলার-
লজ্জা আর অসম্মানের রাত, আগস্ট ১৫
উনিশ শ পঁচাত্তরের রাত।
নির্লজ্জ আবদার, জাতির আজন্ম শত্রুর
এক উলঙ্গ চিৎকার, নিঃসীম উল্লাস
অবাঞ্চিত অশুভ শক্তির অন্বেষণ
পিশাচ বিরুদ্রাক্ষের অতর্কিত হামলা।
কোটি মানুষের স্বপ্নপুরুষ
বঙ্গবন্ধু; সেই কালরাতে
বাংলার মানচিত্র খুদিল রক্ত পিপাসুরা;
স্তব্ধ শঙ্কিত বিশ্ব!
কলঙ্কিত ইতিহাস এক- বাঙ্গালীর;
শূন্যতা এখনও দুনিয়ার কান্না।
নিন্দনীয় ধিককারে মাথা নিচু বাঙ্গালীর;
মনে করে দেয় জাতির পিতাকে হত্যার-
আহ কী কলঙ্কিত অধ্যয়, কী অপরাধ
ছিল বাঙ্গালীর মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টার।
জাতির পিতা, বঙ্গমাতা, শিশু রাসেল
শুকান্তসহ মুক্তিকামী নিরস্ত্র
মানুষকে কেন হত্যা?
এ প্রশ্নের উত্তর বাঙ্গালীর অজানা আজও;
শুধুমাত্র লিপ্সা আর বাঙলার মসনদ-
মূলে ছিলো ক্ষমতা প্রেক্ষিতে অর্জন
বিশ্ববাসীর নিন্দা।
মিথ্যা আড়ম্ভরের বৈভব পিছে ফেলে
জনগণের নিখাদ ধিক্কার পেয়েছে যারা।
এক বিন্দুও হেলাতে পারেনি তারা;
জাতির পিতার উ”চশির উদ্ধত তর্জনী-
সেদিনের সেই অন্তিম কালো রাত
এখনও বাতাস ভারি করে, কলঙ্কের
বিদীর্ণ ছায়া এক- ঘুরে ফেরে বাংলায়।
বসে নেই পিতার রক্তেস্নাত বুঁদেরা;
এখনও ধ্বংসের নীল নকশা আঁকে বাংলায়-
অস্তিত্বে অচেতন এই দেশে বসবাস
তারা ভয়ঙ্কর সত্তায় নষ্টের ছবি আঁকে।
আগুন আহার আর বিষলতার নির্যাস
পানে যারা
আজও আমাদের সাথেই ছায়া হয়ে চলে;
আমাদেরই শোকের সাগরে তারা
চুপিসারে ওজু করে।
আজও সাজানো বাসন্তীরা ভিক্ষা করে-
এখনো থেমে নেই অপ্রচার-গুজব-গিবত;
সুতো ধরেই রক্ত খেকো দেশি হায়েনারা
মেরেছিল বাঙলার অস্তিত্বকে।
জাতির পিতার মৃত্যুই শক্তি, মৃত্যুতেই
ভক্তি, মৃত্যুই ভালবাসা-সকল আশা,
বাঙ্গালী প্রমাণ করেছে মৃত্যুতেই ভাস্বর
আমাদের বঙ্গবন্ধু।
কালের গর্ভে কত দশক, একবিংশের ২১
চলে গেছে, চলছে ২২, আসবে রূপকল্প ৪১
আবার চলেও যাবে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে
শুধু রয়ে যাবে ৭৫’র অধ্যায়; জেগে রবে,
বিনম্র শ্রদ্ধায় স্নাত হবে, ক্ষ’বে না বঙ্গবন্ধু
প্রতিদিনের সুর্যোদয় বাংলায়।
লেখক-
মাহবুব দুলাল
কবি, সাংবাদিক ও কলামিস্ট