মোজায় কেন উপহার রাখেন সান্টা? জানুন কাহিনি
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বড়দিন মানেই আনন্দ। প্রিয় মানুষের সঙ্গে কাটানো উৎসবের দিন। বড়দিনের আগের রাতে পালিত হয় ক্রিসমাস ইভ। এই রাতে প্রিয় সান্টা ক্লজ স্লেজগাড়িতে চেপে সবার বাড়ি আসে।
সান্টা থেকে উপহার পাওয়ার আশায় মুখিয়ে থাকে ছোট-বড় সবাই। রাত হলেই মোজা ঝুলিয়ে রাখে ঘরের এক কোণায়। তাতেই পছন্দের উপহার রেখে যান সান্টা। যা পেয়ে আনন্দিত হয় সবাই। কিন্তু কেন মোজায় উপহার রাখেন তিনি? এর পেছনে কি কোনো গল্প আছে?
সান্টা চরিত্রটিকে কাল্পনিক মনে হলেও বাস্তবে এর অস্তিত্ব রয়েছে। শোনা যায়, চতুর্থ শতাব্দীর তুরস্কে সেন্ট নিকোলাস নামে এক ধনী অথচ দয়ালু ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ছোটবেলাতেই মা-বাবাকে হারিয়েছিলেন।
গরীব দুঃস্থদের জন্য মন কাঁদত তার। কোথাও কেউ বিপদে পড়লে তিনি লুকিয়ে তাকে সাহায্য করতেন। একবার এক ব্যক্তি অর্থাভাবে তার তিন মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিলেন না। খবরটি নিকোলাসের কানে যেতেই তিনি গোপনে সে ব্যক্তির বাড়ি যান।
সেদিন ব্যক্তিটি তার বাড়ির চিমনিতে মোজা শুকাতে দিয়েছিলেন। নিকোলাস লুকিয়ে তার বাড়ি যান এবং মোজায় একটি সোনার থলে রেখে আসেন। এভাবে একবার নয় মোট তিনবার ব্যক্তিটির চিমনিতে উঠে সোনার থলি রেখে আসেন নিকোলাস। শেষবার তাকে দেখে ফেলেন ব্যক্তিটি।
নিকোলাস জানান, আড়াল থেকেই নিঃস্বার্থভাবে উপকার করতে ভালোবাসেন তিনি। তাই কথাটি গোপন রাখলেই ভালো। তবে শেষ পর্যন্ত তার কথা গোপন ছিল না। চারদিকে তার গল্প ছড়িয়ে পড়ে। জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ফাদার নিকোলাস।
ধারণা করা হয়, সেখান থেকে মোজায় সান্টার উপহার রাখার চল শুরু হয়।