‘হৃদরোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে দিতে পারে সরকার’
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় বছরে খরচ হয় অন্তত ৪১০ কোটি টাকা। হৃদরোগীদের এ খরচ সরকার বিনামূল্যে দিতে পারে। যদি সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের ওপর কর ফাঁকি রোধ করা যায়।
জনস্বাস্থ্য গবেষকরা বলছেন, হৃদরোগসহ ৩শ’ রকম ক্যান্সারের জন্য দায়ী বিড়ি সিগারেট বা জর্দা-গুল। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় বাজেটে তামাকজাত পণ্যে বাড়তি সিনট্যাক্স আরোপেরও তাগিদ দেন তারা।
দেশে হৃদরোগীদের ৭০ শতাংশই চিকিৎসা নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে। বিড়ি-সিগারেট ও জর্দা-গুল সেবনই হৃদরোগের অন্যতম কারণ।
জনস্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা বিএনটিটির তথ্য বলছে, এই তিন হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসায় বছরে খরচ হয় ২৮৫ কোটি টাকা। আর সারাদেশে হৃদরোগজনিত চিকিৎসা ব্যয় অন্তত ৪১০ কোটি টাকা।
জনস্বাস্থ্য নীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, যে গবেষণাটি হয়েছে- সেখানে হৃদরোগের চিকিৎসার যে তিনটি বড় খরচ- তার হিসেব করা হয়েছে। সিগারেট কোম্পানিগুলো প্যাকেটে যে দাম লেখা থাকে তার চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করে। এই টাকাটা যদি করারোপের মাধ্যমে আনা যায় তাহলে সরকার লাভবান হবেন এবং হৃদরোগের মতো চিকিৎসাগুলো বিনামূল্যে করিয়ে দিতে পারবে।
পরিসংখ্যান বলছে হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্যজনিত ব্যয়ের অন্তত ৭০ শতাংশ খরচই রোগীর পরিবারকে করতে হয়। এসব রোগে আক্রান্তদের বড় অংশই তামাকসেবী।
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, হৃদরোগের সাথে তামাকের সম্পর্ক জড়িয়ে আছে।
তাই তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমাতে তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি বন্ধের পাশাপাশি সিন ট্যাক্স আরোপের পরামর্শ দিচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, তামাকের কারণে শুধু যে রোগের সৃষ্টি হয়- তা নয়, এর কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই, আমাদের ট্যাক্স বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
দেশে মোট সিগারেটের ৭৭ শতাংশই নিম্নস্তরের। তাই ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়নে নিম্নস্তরে কর বাড়ানো ও ই-সিগারেটের আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধের তাগিদও দেন তারা।