যৌথ পরিবারে থাকার ৫ সুবিধা

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩; সময়: ১:৪৩ অপরাহ্ণ |
যৌথ পরিবারে থাকার ৫ সুবিধা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : যৌথ পরিবারের দেখা এখন কম মেলে। বেশিরভাগ পরিবারই একক। দুই ধরনের পরিবারেই আছে কিছু সুবিধা ও অসুবিধা। এই যেমন যৌথ পরিবারে কিছু অসুবিধার পাশাপাশি সুবিধাও থাকে।

সবার সঙ্গে মিলেমিশে আনন্দে থাকার পাশাপাশি আরও কিছু সুবিধা ভোগ করা যায়। সরাসরি যোগাযোগ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং মানিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা তৈরিতে কাজ করে যৌথ পরিবার।

এমনকী যৌথ পরিবারে বসবাস করার কারণে মানুষ নেতৃত্বের গুণাবলীও সহজে অর্জন করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক যৌথ পরিবারে বসবাস করার ৫টি সুবিধা সম্পর্কে-

পরিবারের সদস্যদের সমর্থন পাওয়া

একাধিক প্রজন্ম এক ছাদের নিচে, একসঙ্গে থাকার কারণে পারস্পারিক সমর্থন পাওয়ার বিষয়টি সহজ হয়। এর অর্থ হলো, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে মানসিক সমর্থন পাওয়া, সঠিক নির্দেশনা পাওয়া এবং যত্ন পাওয়া। চ্যালেঞ্জিং সময় বা ব্যক্তিগত সংকটের সময়, আত্মীয়দের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে তা নিরাপত্তা এবং স্বস্তি দিতে পারে।

দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া

যৌথ পরিবারে দায়িত্ব এবং কাজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হয়। এটি গৃহস্থালী কাজের বোঝা কমাতে এবং কাজের চাপকে আরও সমানভাবে বন্টন করে দিতে সাহায্য করে।

দায়িত্ব ভাগ করে নিলে তা শুধু ব্যক্তিগত চাপ কমায় না বরং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা ও একসঙ্গে কাজ করার মানসিকতাও গড়ে তোলে।

সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ

যৌথ পরিবারগুলো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, রীতিনীতি এবং মূল্যবোধ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুরানো প্রজন্মের সঙ্গে বসবাস করার কারণে সাংস্কৃতিক জ্ঞান, গল্প এবং আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কে ভালো ধারণা গড়ে ওঠে। শিশুরা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে শিখে বড় হয়, শেকড়ের সঙ্গে পরিচিতি এবং সংযোগের একটি দৃঢ় বন্ধন তাদের ভেতরে থাকে।

আর্থিক স্থিতিশীলতা

যৌথ পরিবারের অন্যতম সুবিধা হলো আর্থিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা। উপার্জনক্ষম সবাই আর্থিক দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার কারণে চাপ অনেকটাই কমে যায়। ভাড়া, বিভিন্ন বিল, মুদি বাজার ইত্যাদি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করা হয়, ফলস্বরূপ খরচ অনেক সাশ্রয় হয়।

সামাজিকতা এবং বন্ধন

যৌথ পরিবারগুলোতে পারিবারিক বন্ধনের কারণে সামাজিকতা শেখাটা খুব সহজ হয়ে যায়। নিয়মিত পারিবারিক আড্ডা, উদযাপন এবং খাবার ভাগাভাগি করে খাওয়ার মতো অভ্যাস পারিবারিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে।

এটি দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরি করে। এই ধরনের অভ্যাস মানসিক সুস্থতা, আত্মীয়তার অনুভূতি এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে