ব্রেস্টফিডিং করানোর সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন

প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৩; সময়: ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ |
ব্রেস্টফিডিং করানোর সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল করবেন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সন্তানের জন্মের পর মায়ের জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে। একজন নতুন মায়ের কাছে অনেককিছুই অজানা। কোনটি করতে হবে, কোনটি করা যাবে না সেটিও তারা বুঝে উঠতে পারে না। এমনকী ব্রেস্টফিডিং করানোর সময়ও ভুল করে বসেন কেউ কেউ।

শিশুকে কোন নিয়মে ব্রেস্টফিডিং করানো উচিত, দিনের কোন কোন সময়ে শিশুর মাতৃদুগ্ধের প্রয়োজন এরকম আরও অনেক প্রশ্ন আসতে পারে মনে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-

শিশুকে নিজের কাছে রাখুন –

সন্তানের জন্মের পর তাকে ছয় মাস পর্যন্ত কেবল বুকের দুধই খাওয়াতে হবে, আর কিছু নয়। তাই শিশুর জন্মের পর থেকেই তাকে নিজের কাছে রাখুন, কখনো কাছ ছাড়া করবেন না।

তাকে সব সময়েই মাতৃত্বের স্পর্শে রাখুন। এই সময়ে শিশুর কেবল মাকেই প্রয়োজন হয়। এসময় তার সঙ্গে আপনার বন্ধন গড়ে তোলা উচিত। আপনার মাধ্যমেই সে পৃথিবীকে দেখতে শিখবে।

পজিশন ঠিক রাখুন –

যদি সি-সেকশন হয় তবে মায়েদের কোমরে বেশি ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে শিশুকে দুধ পান করানোর সময় আপনার কোমর ও পিঠের পজিশন ঠিক রাখুন। বুকের দুধ পান করানোর সময় আপনি সামনের দিকে ঝুঁকবেন না।

এর বদলে শিশুকে নিজেই শিখতে দিন। আপনি বসবেন সোজা হয়ে। দরকার হলে পিঠের পেছনে একটি বালিশ রাখতে পারেন। শিশুকে বুকে আগলে নিন। সে নিজেই খাওয়া শিখে যাবে। যদি ঝুঁকে ব্রেস্টফিডিং করান তবে পিঠে ব্যথা বেশি হতে পারে।

নিজের কথা ভাবুন –

সন্তানের জন্মের পর তাকেই নিয়েই ব্যস্ত হয়ে যায় সবাই। এদিকে মা তার নিজের খেয়াল রাখতে ভুলে যায়। এসময় মায়ের বাড়তি যত্ন, বিশ্রামের কথা সবাই ভুলে যান।

এমনকী মা নিজেও সেদিকে নজর দেয় না। এসময় শিশুর পাশাপাশি নিজেকে নিয়েও ভাবতে হবে। নিজের বিশ্রাম ও শারীরিক-মানসিক যত্নের দিকে খেয়াল রাখুন। আপনি ভালো থাকলেই ভালো থাকবে আপনার সন্তানও।

প্রাইভেসিকে গুরুত্ব দিন –

অনেক মা আছে যারা সবার সামনেই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান। কিন্তু আপনার ও শিশুর প্রাইভেসি রক্ষা করতে হবে আপনাকেই। বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় সবার সামনে থেকে সরে গিয়ে কিছুটা আড়ালে বসে খাওয়ান।

সন্তানের মা হয়ে যাওয়ার মানে এই নয় যে আপনার আর কোনোকিছুতে প্রাইভেসি থাকবে না। নিরিবিলি বসে দুধ খাওয়ালে শিশুও একমনে দুধ খেতে পারবে।

শিশুর আরামের দিকে খেয়াল রাখুন –

ব্রেস্টফিডিং করানোর সময় নিজের পাশাপাশি শিশুর আরামের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সে যেহেতু খুবই ছোট তাই খাওয়ার সময়ে তার সাপোর্টের প্রয়োজন হয়। সেজন্য তার ঘাড়, পিঠে এবং কাঁধে হাত দিয়ে রাখুন। এতে তার খাওয়া সহজ হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে