খোসাসহ শসা খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৩; সময়: ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ |
খোসাসহ শসা খাওয়ার উপকারিতা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : শসা অনেকেরই প্রিয় সালাদ। তরকারি হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। খোসা ছাড়িয়ে কিংবা খোসাসহ দুইভাবেই জনপ্রিয় এই সবজি খাওয়া যায়। তবে খোসাসহ শসা খেলে অনেক বেশি উপকার মেলে।

শসার খোসায় রয়েছে একাধিক উপকারী ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই খোসাসহ শসা খেলে যে একাধিক ছোট-বড় অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যাবে তা বলাই বাহুল্য।

১. চোখ থাকবে ফিট​ –

চোখের খেয়াল রাখতে চান তো নাকি? তাহলে আজ থেকেই নিয়মিত খোসাসহ শসা খান। কেননা, শসার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন।

আর এই উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর ভিটামিন এ-তে পরিণত হয় যা কিনা চোখের খেয়াল রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে চাইলে এবং চোখের বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই নিয়মিত খোসা শুদ্ধ শসা খান। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

​২. কমবে ওজন –

ওজন বেশি থাকাটা কোনও কাজের কথা নয়। কারণ ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকলে ডায়াবিটিস, হাই ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরলসহ একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

তাই যেন তেন প্রকারেণ ওজনের কাঁটাকে নিম্মমুখী করতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে শসার খোসা।আসলে শসা এবং শসার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আর এই ফাইবার ওজন কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।

৩. কমবে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ​ –

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে গোড়া থেকে উৎপাটন করতে চাইলে নিয়মিত খোসাসহ শসা খান। আসলে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ইনসলিউবল ফাইবার। আর এই ফাইবার কিন্তু অন্ত্রে জমে থাকা মলকে বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করবে।

তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীরা প্রতিদিন খোসাসহ একটা গোটা শসা খান। এতেই দেখবেন পরের দিন পটি ক্লিয়ার করতে বেগ পেতে হবে না। আর কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ওষুধের উপর নির্ভরতাও কমবে।

​৪. সুগার কমাতেও কার্যকরী​ –

​ডায়াবিটিস একটি ঘাতক অসুখ। এই রোগটিকে ঠিক সময়ে বশে না আনতে পারলে কিডনি, হার্ট, চোখ এবং স্নায়ু সহ একাধিক অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। তাই বিশেষজ্ঞরা সবসময়ই সুগারের কাঁটাকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেন।

আর ভালো খবর হল, এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে শসার খোসা। আসলে শসার খোসায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ডায়াবিটিসে অত্যন্ত কার্যকরী। তাই রক্তে শকর্রার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে খোসা শুদ্ধ শসা খান।

​৫. ত্বকের জন্য উপকারী​ –

শসার খোসা কিন্তু ত্বকের স্বাস্থ্য ফেরানোর কাজে একাই একশো। তাই ত্বক রোগ বিশেষজ্ঞরা ব্রণ, ডার্ক সার্কেলের উপর শসার খোসা লাগানোর পরামর্শ দেন। আর এতেই হাতেনাতে মিলবে ফল।

কিছুদিনের ভিতরেই দেখবেন এই ধরনের সমস্যা অক্কা গিয়েছে। এমনকী বাড়বে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য। তাই ত্বকের খেয়াল রাখতে চাইলেও নিয়মিত শসার খোসা ব্যবহার করুন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে