ইউরিক অ্যাসিডের ঘরোয়া প্রতিকার

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৩; সময়: ২:৩৮ অপরাহ্ণ |
ইউরিক অ্যাসিডের ঘরোয়া প্রতিকার

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বর্তমানে আমরা অনেকেই লাইফস্টাইল ডিজিজে আক্রান্ত। ব্যস্ত জীবনযাত্রা, নানাবিধ অনিয়মের ফলে সৃষ্টকে লাইফস্টাইল ডিজিজ বলে উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা। এসব রোগের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড অন্যতম।

শরীরে এই অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে সমস্যা শুরু হয়। এটি আমাদের রক্তে থাকা একটি রাসায়নিক, যা শরীরে পিউরিন নামক পদার্থ ভেঙে গেলে তৈরি হয়।

খাবারের তিনটি প্রধান উপাদান হলো কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং চর্বি। ইউরিক অ্যাসিড প্রোটিন ভেঙে তৈরি হয়। এটি হলো বিপাকের শেষে তৈরি হওয়া একটি উপাদান।

স্থূল বা অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তির ক্ষেত্রে ইউরিক অ্যাসিড বেশি তৈরি হতে দেখা যায়, যা শরীরের নীচের অংশে জমা হতে পারে। এটি আরও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়ায়। সচেতনভাবে খাদ্য এবং জীবনযাপনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কী হয়?

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। এটি কিডনির স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। কিডনিতে পাথর, কিডনি ফেইলিওর এবং অন্যান্য গুরুতর ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ায়।

এটি জয়েন্টগুলোতে ব্যথা বাড়াতে পারে এবং বাত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে চিন্তা করবেন না, সাধারণ রক্ত ​​​​পরীক্ষার মাধ্যমে এটি সহজেই শনাক্ত করতে পারবেন এবং একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং জীবনযাত্রার মাধ্যমে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করার ঘরোয়া প্রতিকার-

পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার কম খান –

আপনার ডায়েটে পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মসুর ডাল, লাল মাংস, সয়াবিন, মুগ ডাল, পালং শাক ইত্যাদি বাদ দিন বা সীমিত করুন। এই অভ্যাস শরীরের ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে দেবে না।

হাইড্রেটেড থাকুন –

হাইড্রেশন চাবিকাঠি! ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখতে প্রচুর পানি পান করুন। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, প্রয়োজনীয় পানি পান করলে তা শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দেয় এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান –

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ খাবার বিপাককে উন্নীত করতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়। ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ডের একটি সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে বেরি, বেল মরিচ ইত্যাদি খেলে তা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরে অ্যাসিডের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে।

খাদ্যতালিকায় আরও ফাইবার যোগ করুন –

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার আপনার হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, এটি সঠিকভাবে পুষ্টিকে ভেঙে দেয়। ফাইবার রক্তে ইউরিক অ্যাসিড জমা হওয়া রোধ করে। তাই আপনার খাবারের তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি যোগ করুন।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান –

নিউট্রিয়েন্টস জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা দেখায় যে উচ্চ ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে তা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

তাই বিশেষজ্ঞরা পর্যাপ্ত লেবুর রস, আপেল সাইডার ভিনেগার, অন্যান্য ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন। যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধির ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে