আপনার স্ত্রী কি শিশুদের মতো আচরণ করে?

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৩; সময়: ১২:৩৯ অপরাহ্ণ |
আপনার স্ত্রী কি শিশুদের মতো আচরণ করে?

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : এক একজনের আচরণ এক এক রকম। কেউ শিশুসুলভ কেউবা ম্যাচিরউড। সমস্যা হয় পরিনত বয়সেও যারা বাচ্চাদের মতো আচরণ করেন তখনই। অনেকেই অভিযোগ করেন তাদের স্ত্রীর আচরণ ছোটদের মতো।

তারা যেনো কিছুতেই বাস্তবতা বুঝতে চায় না। সমস্যাটা হয় তখনই। যখন আপনার স্ত্রী আপনাকে ঠিক বুঝতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন?

তাই সময় থাকতে থাকতে এই সমস্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। ভাবছেন নিশ্চয়ই, কীভাবে এই দুরূহ কাজটি করবেন? জানুন বিস্তারিত।

​১. বুঝিয়ে বললেই ফল মিলবে হাতেনাতে​

এই মুহূর্তে আপনার প্রধান কাজ হল স্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলা। তার ছোটদের মতো আচরণ দেখে যে অনেকে হাসাহাসি করছে, তা আপনাকে বোঝাতে হবে। আর এই কাজটা ঠিকমতো করতে পারলেই কিন্তু ফল মিলবে হাতেনাতে।

তবে স্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার আগে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিন। কোন কথা, কীভাবে তার কাছে তুলে ধরবেন, এই বিষয়টা ঝালিয়ে নিতে হবে। এই কাজটা করতে পারলেই স্ত্রী আপনাকে বুঝতে শুরু করবে।

২. দায়িত্ব দিন​

​স্ত্রীর মধ্যে ম্যাচুরিটি আনতে চাইলে তাকে সংসারের কিছু দায়িত্ব দিতে হবে। প্রথমে তাকে ছোট কিছু কাজ করতে বলুন, যেমন ধরুন- বাসা-বাড়ির বিল পরিশোধ করা, বাজার করা ইত্যাদি। এরপর সেইসব কাজের অগ্রগতি নিয়ে ফলোআপ করুন। এতেই দেখবেন কাজ হবে।

তিনি আপনার বকবকানির জ্বালায় কাজটি খুব দ্রুত সেরে ফেলবেন। আর একটা কাজ শেষ হলেই তাকে আবার নতুন কাজ দিন। এভাবে চক্রাকারে কাজের মধ্যে থাকলে তার মতিগতি বদলে যেতে সময় লাগবে না।

​৩. পরামর্শ চান​

তিনি যে বড় হয়েছেন, তার সিদ্ধান্তের যে একটা গুরুত্ব রয়েছে, এই বিষয়টা তাকে বোঝাতে হবে। আর এই কাজটা করার সবথেকে ভালো রাস্তা হল যে কোনও বিষয়ে তার পরামর্শ চাওয়া।

আজ কী রান্না হবে থেকে শুরু করে, ঘরের রঙ বেছে নেওয়া, বন্ধুর বিয়ের উপহার কেনাসহ সব ছোট-বড় বিষয়েই তার মতামত নিন। আর প্রয়োজন হলে তাঁর মতামতকেই প্রাধান্য দিতে হবে। এতেই দেখবেন তার মধ্যে একটা বড় বদল পরিলক্ষিত করতে পারবেন।

৪. তার সমস্যা তাকেই মেটাতে দিন​

অনেক পুরুষই স্ত্রীর এহেন ছোটদের মতো আচরণ দেখে তাদের কোনও কাজই করতে দেন না। এমনতি স্ত্রীর নিজস্ব কিছু বিষয়েও তারা নাক গলান। ফলে স্ত্রীর ভিতর ম্যাচুরিটি গড়ে ওঠার অবকাশ থাকে না। তাই এবার থেকে তার সমস্যা তাকেই মেটাতে দিন। তার সমস্যার বিষয়ে আপনি বেশি মাথা ঘামাতে যাবেন না।

এতেই দেখবেন তার মতির ভ্রম দূর হতে সময় লাগবে না। তবে প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই তার পাশে দাঁড়ান। নইলে স্বামী হিসাবে সারাজীবন দোষের ভাগী হয়ে থাকবেন।

​৫. খোঁটা দিলেই কিন্তু ফেঁসে যাবেন​

অনেকেই স্ত্রীর শিশুসুলভ আচরণে বিরক্ত হয়ে ওঠেন। এমনকি হঠাৎ করেই এই আচরণের জন্য স্ত্রীর উপর চিৎকার করেন বা তাকে উদ্দেশ্য করে টিপ্পনি কাটেন। আর স্বামীর কাছে এমন দুর্ব্যবহার পেয়ে স্ত্রীর মনে জমতে থাকে রাগ।

তারা মুখে কিছু না বললেও মনের ভেতর ক্ষোভ পুষে রেখে দেন। আর এটাই কিন্তু সম্পর্ককে শেষ করে দিলেও দিতে পারে। তাই যতই সমস্যা হোক না কেন মাথা ঠান্ডা রাখুন। তাহলেই কিন্তু এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে