নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ ও উন্নয়ন প্রত্যাশা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৪; সময়: ১:০৭ অপরাহ্ণ |
খবর > মতামত
নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ ও উন্নয়ন প্রত্যাশা

ড. আতিউর রহমান : অস্বীকার করার উপায় নেই, দারুণ এক উত্তেজনার মধ্যেই শেষ হলো ২০২৩ সাল। বিশ্বজুড়েই ছিল ভূরাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক টানাপোড়েন। বিশেষ করে কোভিড-উত্তর সময়ে সারা বিশ্বের অর্থনীতি যখন আড়মোড়া ভেঙে উঠে দাঁড়াচ্ছিল, তখনই নেমে এলো রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। এলো স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন। বিশ্ব সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়ল। জ্বালানি তেল, সার, ভোজ্যতেল ও গমের দাম বেড়ে গেল।

মূল্যস্ফীতি বাগে আনতে ফেডসহ পশ্চিমের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সংকোচনীতি গ্রহণ করল। নীতি সুদহার বাড়িয়ে চলল। এর প্রভাবে ডলার এবং তার সহযোগী রিজার্ভ কারেন্সির দাম বাড়তে থাকল। এর প্রভাবে আমাদের টাকার দাম গত এক বছরে প্রায় তিরিশ শতাংশ পড়ে গেছে। এর সরাসরি প্রভাব গিয়ে পড়েছে আমাদের আমদানি করা মূল্যে। যদিও রপ্তানি মূল্যও বেড়েছে, তবে এ কথাও মনে রাখা চাই যে রপ্তানির বড় অংশই আবার চলে যায় বাড়তি দামের আমদানি করা কাঁচামাল, মধ্যম পণ্য ও যন্ত্রপাতি আমদানি বাবদ।

শেষ পর্যন্ত মূল্য সংযোজন খুব বেশি হয়নি। উপরন্তু নানা ধরনের বিনিময় হার থাকায় বিদেশি মুদ্রার ছায়া বাজার হয়ে ওঠে বেপরোয়া। হুন্ডিওয়ালাদের পোয়াবারো। অর্থ পাচার রমরমা। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয় দেদার।

তাই বিলাসপণ্যসহ অপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হয় ব্যাপক হারে। এর প্রভাবে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের এলসি খোলাই দায় হয়ে পড়ে। প্রায় ১৫-১৬ শতাংশ আমদানি কমে গেছে। ছায়াবাজার থেকে বেশি দামে ডলার কিনে কোনোমতে এ উদ্যোক্তারা পণ্য আমদানি করছেন। এর প্রভাব নিশ্চয়ই প্রবৃদ্ধির ওপর পড়েছে। তাই বাংলাদেশকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে সাত শতাংশ থেকে প্রায় এক শতাংশ কমিয়ে ফেলতে হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের মতোই হবে। যদিও এডিবি বলছে সাড়ে ছয় শতাংশের মতো হবে। ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধিও কিন্তু মন্দ নয়। বিশ্বের প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে এটি হবে দ্বিগুণের মতো।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হরতাল-অবরোধসহ সামাজিক অশান্তি না থাকলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার সাত শতাংশের ধারে-কাছেই থাকত বলে আমার মনে হয়।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিইবিআর বলছে, ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.২ শতাংশ। এর পর থেকে প্রবৃদ্ধি ছয়-সাত শতাংশের মধ্যেই হবে বলে তারা প্রক্ষেপণ করেছে এবং ২০৩৮ সাল নাগাদ পৃথিবীর ২০তম অর্থনীতি হবে। এ প্রবৃদ্ধির পেছনে মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং, ক্ষুদ্র ঋণসহ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রায় সাত লাখ তরুণ প্রযুক্তি ব্যবহারকারী অবদান রেখে চলেছে। আর গতিময় আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

প্রবৃদ্ধি অবশ্য গেল বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল না। মূল্যস্ফীতি, বিনিময় হার, আর্থিক হিসাবে ঘাটতির কারণে দেখা দেওয়া লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা এবং রিজার্ভের মতো সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলোই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে ২০২৩ সালে। সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা অনেক বছর পরে ২০২৩ সালে যেভাবে টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছে, তা সত্যি কাঙ্ক্ষিত ছিল না। আর বাড়তি মূল্যস্ফীতির পরিবেশে অনানুষ্ঠানিক খাতের কম আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার চাপ যে বেড়েছে, তা তো টিসিবির ট্রাকসেল কর্মসূচিতে বিপন্ন মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখেই অনুমান করা যায়।

এমন দুঃসময়েও পরিবহণ কর্মীদের হরতাল ও অবরোধে অগ্নিসন্ত্রাসের মধ্যে পড়তে হয়েছে। একটা সময় তাদের ভয়ে কর্মহীনতাকেই বেছে নিতে হয়েছিল। ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও প্রায়ই অনানুষ্ঠানিক এসব কর্মীদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার হতে হয়েছে ২০২৩ সালে। এমনই এক প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দলের যে সময়োপযোগী ইশতেহার দিয়েছেন, তাতে আমাদের অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ এবং সেগুলো মোকাবিলার সুচিন্তিত রূপরেখা উপস্থাপন করেছেন।

আগামী দিনের জন্য তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো কতটা সময়োচিত এবং এগুলো বাস্তবায়নে তারা কতটা সমর্থ হবে। আমাদের সামনের চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে ইশতেহার প্রণেতারা কতটা সংবেদনশীল, সেটি বিশ্লেষণী চোখে দেখতে হবে। আমাদের সামনের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো আসলে কী কী?

১. দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্য প্রশংসনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনার পরও এখনো দেশের প্রায় ১৮.৭ শতাংশ দরিদ্র ও ৫.৬ শতাংশ মানুষ অতিদরিদ্র। এর মানে, তিন কোটিরও বেশি মানুষ এখনো দরিদ্র।

২. বছরে শ্রমশক্তিতে ২০ লাখ নতুন মুখ যুক্ত হওয়ার বিপরীতে আনুষ্ঠানিক খাতে কাজের সুযোগ তৈরি হয় মাত্র ২ লাখ। অনানুষ্ঠানিক খাতে বাকিদের বড় অংশটির কাজের সুযোগ থাকলেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমাদের জন্য আসলেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

৩. মানুষের জন্য কাজের সুযোগ তৈরিতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগও বাড়াতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী জনশক্তি গড়ে তোলা তাই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে। পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকেই ঢেলে সাজানো তাই একান্ত জরুরি।

৪. অবকাঠামোগত সুবিধাদির উন্নতির কারণে বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্টি হচ্ছেন। তাই অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা চাই। ডিজিটালাইজেশনেও আরও মনোযোগ চাই।

৫. গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক সূচক ২০২১ অনুসারে বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদশে রয়েছে শীর্ষ দশে (৭ম)।

৬. সর্বোপরি সুশাসনের চ্যালেঞ্জটিও বিচেনায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে আলাদাভাবে আর্থিক সেবা খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা যাবে না। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে সমাজের সব স্তরে। আর এটিও মনে রাখতে হবে যে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাণশক্তি তরুণ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে থাকা অনিয়ম ও দুর্নীতি একদম পছন্দ করে না। তাই তাদের একটি বড় অংশ দেশেই থাকতে চাচ্ছে না।

৭. বছরে বছরে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে। সর্বশেষ ‘হাউজহোল্ড ইনকাম ও এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (২০২২) বলছে, সমাজের উপরের ১০ শতাংশ মানুষের হাতে এখন দেশের ৪১ শতাংশ আয়। অথচ সাত বছর আগেও এ হার ছিল ৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে নিচের দিকের ৫ শতাংশ মানুষের আয় এখন শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ। যদিও ভোগবৈষম্য এতটা প্রকট নয়, তবু এ কথা বলতেই হবে যে, আয়রোজগারে ‘কতিপয়তন্ত্র’র দাপট বেড়েই চলেছে। এমনকি বাজার ব্যবস্থাপনায় যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তাও এ কতিপয়ের কারণেই।

এমনি এক প্রেক্ষাপটে আমরা প্রত্যাশা করছি নির্বাচন-উত্তর ২০২৪ সালটিতে আমরা স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনীতির সন্ধান পাব। তবে তার অনেকটাই নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে বোঝাপড়া ও আস্থার পরিবেশ কতটা সুস্থির হয় তার ওপরে। তা না হলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের আস্থার ওপর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বেশ খানিকটা চাপ থেকেই যাবে। বিদেশি বিনিয়োগও অস্থিতিশীল পরিবেশে খানিকটা দ্বিধার মধ্যে থাকতে পারে।

এতসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আশা করছি নির্বাচনের পর যে নতুন সরকার শপথ নেবে, সেটি সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য বেশকিছু শক্তিশালী সংস্কারে মনোনিবেশ করতে আগ্রহী হবে।

সামনের বছর আমরা খাদ্য মূল্যস্ফীতিসহ সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ আশা করছি। ২০২৪ সালে মূল্যস্ফীতি যেন ৬ শতাংশের নিচে নেমে আসে, সে প্রত্যাশাই করছি। তবে বছরের শুরুতেই আইএমএফ কর্মসূচির রূপরেখা বস্তবায়ন করতে হবে। তখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছি। তাতে পরিবহণ ও উৎপাদন খরচ বাড়বে। আর সে কারণে মূল্যস্ফীতি জুনের শেষে সাত থেকে-সাড়ে সাত শতাংশের মতোই থেকে যাবে বলে মনে হয়। তাছাড়া নির্বাচনোত্তর পরিবেশে বিনিময় হার বাজার চাহিদামতো সমন্বিত হলে আরও বাড়বে।

টাকার বাড়তি এ অবমূল্যায়ন সাময়িকভাবে হলেও আমদানি করা পণ্যের দাম হয়তো আরও বাড়াতে প্রভাব ফেলতে পারে। এতে দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও খানিকটা বড়বে। তাই মূল্যস্ফীতি শিগগিরই ছয় শতাংশে নামিয়ে আনা খুব একটা সহজ হবে বলে মনে হয় না। তবে আগামী বছর শেষে নিশ্চয়ই মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশের নিচে কিংবা কাছাকাছি আনা যাবে বলে আশা করছি। সেজন্য মুদ্রানীতির ভঙ্গিটি আরও অনেকটা সময় ধরেই সংকোচনমূলক রাখতে হবে।

একাধিক বিনিময় হারকে সমন্বয় করে একটি হারে নিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আইএমএফ আশা করছে বাজারদরের কাছাকাছি একটি বিনিময় হার ঠিক করে তা থেকে দুই শতাংশ ওঠানামার ব্যবস্থা করে স্মার্ট বিনিময় হার চালু করা সম্ভব হবে। প্রত্যাশা করছি, নতুন বছরের শুরুতেই মুদ্রানীতির ঘোষণার সময় ‘ক্রলিং পেগ’ ব্যবস্থার অধীনেও বিনিময় হারকে অনেকটাই বাজারনির্ভরতার কাছাকাছি নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। শেষ পর্যন্ত হয়তো একদিন পুরোপুরি বাজারনির্ভর বিনিময় হারও এভাবে অর্জন করা সম্ভব হবে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে যেমনটি বলা হয়েছে, আমদানি ও রপ্তানি মূল্যের বিদ্যমান যে ফারাক সেটি কমিয়ে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা হবে। বিনিময় হার স্থিতিশীল করার জন্য বাণিজ্যিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি। সেজন্যই প্রত্যাশা করছি রপ্তানি বাড়িয়েই যেন এ ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা হয়। আর বিলাসপণ্য আমদানি ব্যাপক হারে কমিয়ে আনার আরও জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে।

তবে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা যাতে সহজেই তাদের এলসি খুলতে পারেন সেজন্য হয় কোনো বিদেশি ব্যাংককে একটি বিশেষ বিদেশি ঋণের তহবিল চালু করতে বলা যায় অথবা কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজে কোনো রিফাইন্যান্স লাইন খুলতে পারে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ইন্টারব্যাংক ব্যবস্থাটি ফের সচল করা।

আশা করি, রাজস্বনীতিও মুদ্রানীতির সঙ্গে তার সমন্বয় আরও গভীরতর করবে। বাজেট ঘাটতি লাগাম ছাড়া রেখে রাজস্ব সমাবেশ কাঙ্ক্ষিত হারে না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেশি করে ধার নিয়ে সরকারের উন্নয়ন খরচ বাড়ালে মূল্যস্ফীতিকে বাগে আনা মোটেও সহজ হবে না। তাই প্রত্যাশা করছি সরকারসহ সব অংশীজনের মধ্যেই আয় বুঝে ব্যয় করার সংস্কৃতি নতুন বছরে আরও পোক্ত হবে।

কর্মসংস্থান সৃষ্টিই যেন হয় আমাদের সর্বোচ্চ নীতি অগ্রাধিকার। সরকারি দলের ইশতেহারে বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। প্রত্যাশা করছি নতুন বছরে প্রশিক্ষণ প্রসারে সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো অংশীদারত্বের পরিসর বাড়াবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউসেপ স্বল্প খরচে হাজারদশেক কর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এদের অনেকেই স্ব-উদ্যোগী হয়ে অন্যের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিও করতে পারে। অনেকে প্রবাসী কর্মীও হওয়ার চেষ্টা করে এবং সফলও হয়। এমন উদ্যোগকে সমর্থনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে। এডিবি সমর্থিত সরকার সিপ প্রকল্প এমন সমর্থন দিতে পেরেছে।

তাই আশা করি, নতুন বছরে কৃষি ও শিল্পে উপযুক্ত সমর্থন দিয়ে প্রবৃদ্ধির চাকাকে সচল রেখে এবং দুর্নীতিমুক্ত সুশাসনধর্মী সমাজ ও প্রশাসন নিশ্চিত করে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। সে রকম একটি আশাজাগানিয়া বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো নতুন সরকার শক্ত হাতে বাস্তবায়ন করবে নতুন বছরে সেই প্রত্যাশাই বেশি করে করছি।

লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে