সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে ঈদ হয় কেন?

প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৪; সময়: ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ |
সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে ঈদ হয় কেন?

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : টানা এক মাস রোজা রাখার পর বিশ্বের মুসলমানদের মনে বইছে ঈদের সুবাতাস। ইতিমধ্যে পৃথিবীর অনেক দেশেই আজ ঈদ পালিত হচ্ছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ঈদ উল ফিতর উদযাপিত হবে।

অনেকের মনেই প্রশ্ন এক এক দেশে ঈদ কেন এক এক দিন। কেন সৌদি আরবের এক দিন পর বাংলাদেশে ঈদ হয়? কেন সবাই একই দিনে ঈদ উদযাপন করেন না? এর পেছনে রয়েছে ভৌগোলিক ও বৈজ্ঞানিক কারণ। চলুন এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক।

বাংলাদেশের ঈদের দিন নির্ধারিত হয় যেভাবে-

বাংলাদেশের মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতরের দিন চূড়ান্ত হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। সাধারণত ২৯ রোজার দিন বিকেলে এ কমিটি বৈঠকে বসে।

সেদিন যদি দেশের কোথাও চাঁদ দেখা যায় তাহলে পরদিন ঈদের ঘোষণা দেয় ফাউন্ডেশন আর তা না হলে ত্রিশ রোজা শেষেই ঈদ হয়ে থাকে।

সাধারণত সৌদি আরবে যেদিন ঈদ হয় তার পরদিন বাংলাদেশে ঈদ পালিত হয়। আবার কিছু জায়গায় পালিত হয় সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে।

বাংলাদেশ কেন সৌদি আরবের একদিন পর ঈদ উদযাপন করে?

ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের একদিন পর নতুন চাঁদ দেখা যায়। আবার আরব বিশ্বে বাংলাদেশের তিন ঘণ্টা পর সূর্যাস্ত হয়। সে জন্য তিন ঘণ্টা পর আরব বিশ্ব নতুন চাঁদ দেখতে পেলেও সময়ের ব্যবধানের কারণে বাংলাদেশে তা দেখতে পাওয়া যায় না।

তবে আবার সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া আরব বিশ্বের মতো করেই ঈদ পালন করে। তাদের অনুসরণ করে আফ্রিকার কিছু মুসলিম দেশও।

এক এক দেশে কেন এক এক সময়ে চাঁদ ওঠে?

খালি চোখে চাঁদকে দেখতে হলে চন্দ্র আর সূর্যের মাঝে ১০.৫ ডিগ্রি কোণ থাকতেই হবে। যে পরিমাণ দূরত্ব অর্জন করলে এই কোণ তৈরি হবে, সে পরিমাণ যেতে যেতে চাঁদের ১৭ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যায়।

এ কারণেই আজ আমেরিকাতে চাঁদ দেখে গেলেই যে বাংলাদেশেও দেখা যাবে, সেটা ভুল ধারণা। যতক্ষণ না পর্যন্ত সেই কোণ অর্থাৎ ১০.৫ ডিগ্রি অর্জন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেখা যাবে না।

একই বিষয় সৌদি আরব ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও। এই সংকট কোণকে ইলঙ্গেশন বলে। তাই চাঁদের বয়স কত সেটা আদৌ আসল কথা নয়, সেই কোণ হয়েছে কিনা সেটার উপর নির্ভর করে চাঁদ দেখা যাবে কিনা।

ফলে আমরা সৌদি আরব থেকে ৩ ঘণ্টা সূর্যের হিসেবে এগিয়ে থাকলেও, চাঁদের হিসেবে ২১ (২৪-৩=২১) ঘণ্টা পিছিয়ে আছি। ২১ ঘণ্টা প্রায় ১ দিন। অর্থাৎ আমরা প্রায় একদিন পিছিয়ে আছি।

সেজন্যই সৌর বছরের হিসেবে একদিন পরে চাঁদ দেখি। তবে চন্দ্র বছরের কথা বললে আমরা সবাই একই দিনেই সব করি। তাই কারো এমনটা ভাবার কিছু নেই যে সবাই ভিন্ন দিনে রমজান বা ঈদ পালন করে। সবাই একই দিনেই পালন করে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে