গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহার ও নতুন মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আবাসিক ও বাণিজ্যক বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহার ও নতুন মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে গ্রাহকরা মানববন্ধন করেছে। শনিবার সকাল ১০টা- থেকে ১২টা পর্যন্ত উপজেলা সদর ফিরোজ চত্বরে গোদাগাড়ী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্বে করেন নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দীন বিশ্বাস। মানববন্ধন চলাকলীন বক্তব্য রাখেন উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শান্ত কুমার মজুমদার,উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক এস এম বরজাহান আলী পিন্টু, গোদাগাড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শহিদুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর মামুন অর রশিদ মামুন, গোদাগাড়ী সুশীল সমাজের প্রতিনিধি মুসফিকুর রহমান ও আব্দুল করিম প্রমূখ।বক্তারা বলেন, প্রি-পেইড মিটারে টাকা রিচার্জের জন্য প্রথমে নগদ বা বিকাশের মাধ্যমে মিটার কোম্পানিতে টাকা পাঠাতে হবে যার জন্য নগদ বা বিকাশে ক্যাশ আউট ফি প্রদান করতে হবে।
টাকা পাঠানোর পরে নগদ বা বিকাশ কোম্পানি ২০ ডিজিট এর একটি টোকেন নম্বর দিবে যা আবার মিটারে তুলতে হবে, ২০ ডিজিটের টোকেন নম্বর হওয়ার ফলে নম্বর ভুলের সম্ভবনা থাকে।বাসায় যদি কোন বৃদ্ধ মানুষ থাকে তবে নম্বর দেওয়াটা বড় সমস্যা হতে পারে, নম্বর সঠিকভাবে না দিতে পারলে বিদ্যুৎ আসবে না।প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট এবং মিটার ভাড়া দিতে হবে যা বাধ্যতামূলক। প্রতি হাজারে ২০০ টাকা ডিমান্ড চার্জ, ৪০ টাকা ভ্যাট এবং ৬০ টাকা মিটার ভাড়া হিসেবে টাকা রিচার্জের সাথে সাথে কেটে নেওয়া হবে।
আপনি ৫-৭ দিনের জন্য বাসার বাইরে কোথাও গেলেন এমন সময় আপনার বাসার মিটারের টাকা শেষ, বাসায় বিদ্যুৎ নাই এবং আপনার বাসার ফ্রিজে অনেক খাবার আছে তাহলে আপনার বাসায় সমস্ত খাবার নষ্ট হয়ে যাবে। মিটারের মিটার রিডার এখন গ্রাহক নিজেই। তারপরও কেন প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ নেওয়া হয়।ডিজিটাল প্রি-পেইড মিটার আবাসিক (বাসা-বাড়ী), বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে স্থাপন-বাতিলের দাবি জানানো হয়।