নওহাটা পৌর কার্যালয়ের দেড় কোটি টাকার মালামাল লুট ও ভষ্মিভূত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর অন্যান্য সরকারি, ব্যক্তিগত অফিস ও স্থাপনায় হামলার পাশাপাশি নওহাটা পৌর কার্যালয়েও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুষ্কৃতিকারিরা।
রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার নওহাটা কলেজ মোড় সংলগ্ন এ কার্যালয় থেকে হামলাকারিরা নগদ অর্থ লুটপাটসহ দরজা-জানালার থাই ভেঙ্গে দিয়েছে। পাশাপাশি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পৌরসভার বিপুলসংখ্যক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ফাইল, ডকুমেন্ট, চেক ও এসি-ফ্রিজসহ দামি আসবাবপত্র।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, বাতাসে পুড়া-পুড়া গন্ধ শেষ হয়নি। ভিতরে গিয়ে দেখা যায় বীভৎসতা রূপ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, এটা কোন রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যালয় নয়। এটা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। যা জনগণের সেবার কার্যালয়। এখানে পৌর মেয়র ও প্রশাসক যারা ছিলেন তাদের পরিশ্রমেই এই কার্যালয়টি তিলে তিলে গড়ে তোলা হয়েছিল।
সম্ভবত ২০০২ সালের দিকে বিএনপির শাসনামলে নওহাটা ইউনিয়ন থেকে নওহাটা পৌর সভা গঠন করা হয়। যার প্রথম প্রশাসক ছিলেন ও দুইবারের সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা শেখ মো. মোকবুল হোসেন।
তিনি বলেন রাজশাহীর জেলার মধ্যে সর্ববৃহত আয়তন ও প্রায় ৪৫ হাজার ভোটার নিয়ে বর্তমানে নওহাটা পৌরসভা। আসলে আমাদের আরো অনেককিছু শেখার আছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়েই রাষ্ট্রের উন্নয়ন হয়।
পরোক্ষভাবে আমাদেরই এই খেশারত গুনতে হবে। এছাড়াও যে রাজনৈতিক দলেরই পৌর মেয়র নির্বাচিত হন না কেন সবায়কেই এই কার্যালয়েই বসতে হবে। যেভাবে ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে তাতে প্রায় কোটি টাকার সম্পদ খোয়া ও নষ্ট হয়েছে।
পৌরসভা কার্যালয়ের সূত্রে থেকে জানা গেছে, প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পৌর মেয়রের থাকা নগদ ১৫ লাখ টাকা, বিপুলসংখ্যক ফাইল, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ব্যাংকের চেক, কম্পিউটার ৩টা, এসি ২টা, মিনি গার্বেজ ট্রাক ৫টা, বড় গার্বেজ ট্রাক ২টা, মেয়রের রুমের ইন্টেরিয়র, ২৫ সকল চেয়ার ও ৫ টেবিল, টিভি ৪টা, সিসি ক্যামেরার মনিটরসহ ২০টি ক্যামেরা, ১২টি রুমের থাই, ভ্যাকসিন ফ্রিজ ১টা, অসংখ্য পিভিসি ডাস্টবিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিএনপির এক নেতা বলেন, হঠাৎ করেই কিছু জনগণ না জেনে অতিউৎসাহিত হয়ে এমন কাজ করেছে। তবে এই রাজনীতি কোন নেতাই পছন্দ করে না। আমরা সবায়কে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি।