রাজশাহীর ৫ ফ্লাইওভার নির্মাণে অনিশ্চয়তা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বন্ধের পথে রাজশাহী নগরীর ৫টি ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর লাপাত্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডিয়েনকো লিমিটেড। এতে রাজশাহী নগরীর হড়গ্রাম নতুনপাড়া, বহরমপুর মোড় থেকে বন্ধগেট, নিউমার্কেট থেকে গেরহাঙ্গা মোড় পানি উন্নয়ন বোর্ড ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন নগরবাসী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্প এলাকায় চুরি আর লুটপাটের ঘটনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছেন নিরাপত্তাহীনতায়। সড়কে অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ, বড় বড় গর্তের কারণে চলাচলে বিঘ্ন হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। বৃষ্টির কাদাপানিতে চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। ওই এলাকায় দোকানিদের ব্যবসায় ধস নেমেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বড় বড় গর্তের কারণে ওই নির্মাণ এলাকায় চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে। কোনো গাড়ি ও মোটরসাইকেল ঢুকতে পারছে না। মানুষের চলাফেরায় ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে। বিপুল অর্থ ব্যয়ের ওই প্রকল্প ছিলো একেবারেই অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়,
রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলগট, বিলসিমলা, বন্ধ গেট, বহরমপুর এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজের চিত্রও একই। মজিদ সন্স কন্সট্রাকশন লিমিটেডের প্রকল্প এলাকায় নেই নির্মাণের হাঁকডাঁক। অনুপস্থিত শ্রমিক। সড়কে ইস্পাত, রডের মত নির্মাণ সামগ্রী থাকলেও সরিয়ে নেয়া হয়েছে নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ভারী মেশিনপত্র।
তবে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে নির্মাণ সামগ্রীর লুটপাট ও চুরি হচ্ছে। রাত-দিন সমানে লুটপাট ও চুরি চলছে। কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না। অনেক সময় আগুন দিয়ে ক্ষতি করছে, তারা হামলাও পর্যন্ত করছে। তাই ভয়ে আতঙ্কে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘আমরা যাচাই করে দেখছি। প্রকল্পগুলো মধ্যে যেগুলো সচল আছে, যদি জনস্বার্থে হয় তাহলে সেগুলো চালু রাখা হবে। ওইটুকু কাজ করার জন্য আমাদের অর্থ আছে। প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা, দুর্নীতির বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে নেয়া হবে পরবর্তী ব্যবস্থা।
রাজশাহী নগরীতে নির্মাণ শেষ হওয়া দুটিসহ মোট ৭টি ফ্লাইওভারের জন্য সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ প্রায় ৮২১ কোটি টাকা। নগরীর সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়নে গত সরকারের বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার কোটি টাকা।