পুঠিয়াতে সহকারী শিক্ষক এন্তাজ আলীর বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৪; সময়: ৬:২১ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়াতে সহকারী শিক্ষক এন্তাজ আলীর বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া (রাজশাহী) : সহকারী শিক্ষক এন্তাজ আলীর বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বানেশ্বর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক তিনি। ১৪ বছর যাবত সরকারি কোষাগার থেকে এই জাল সনদ দিয়ে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষক ইন্তাজ আলী ২০১০ সালে একটি শিক্ষক নিবন্ধন জাল সনদ দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ নিয়েছেন। এনটিআরসিএ এর ওয়েবসাইটে সেই সনদের রোল নম্বর দিলে সনদধারীর কোনো তথ্য আসে না। তিনি ওই বিদ্যালয়ে গত ২০১০ইং সালের ১২ আগস্ট ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। যোগদান করেই আ’লীগ সরকারের স্থানীয় এমপির ক্ষমতা দেখিয়ে বেতনসহ সকল অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন এই ভূয়া শিক্ষক।

নিয়োগের সময় তিনি যে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জমা দেন তার রোল নম্বর ৩২১১০৩৫৫ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৯০০০২০৫৪/২০০৯ । সেই সনদের আবশ্যিক বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর ৪৪ এবং ঐচ্ছিক বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬০। এরপর তিনি এই জাল সনদ দিয়েই এমপিওভুক্ত হয়ে নিয়মিত বেতন উত্তোলন করে আসছেন। সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) এন্তাজ আলী গত দুইদিন যাবত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

বানেশ্বর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজাদ আলী বলেন, সহকারী শিক্ষক এন্তাজ আলীর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল আমি শুনেছি। গত ২০২২ সালে অডিট হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন রিপোর্ট আছেনি। তাই তার নিবন্ধন সনদ জাল এটা বলা যাচ্ছে না। তবে তার কাছ থেকে অনেক বার নিবন্ধন সনদ চাওয়া হলেও তিনি সনদ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু কেন সনদ দিতে অপারগতা তা জানি না।

গত ৫ জুলাই আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তাকে আর স্কুলে দেখা যায়নি তিনি পলাতক রয়েছেন। তার কিছু পরে প্রধান শিক্ষক আজাদ আলীর কাছে তার নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ করেন দুই মাসের ছুটি চেয়ে। পরে সেই মাসেজ বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ফরওয়ার্ড করে পাঠান। কিন্তু এই মেসেজ ছুটির জন্য গ্রহণ যোগ্য নয়। তারপরেও আমি ৩ দিন ছুটির ক্ষমতা রাখি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা জাহান বলেন, আমি কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদের বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ নেই। গত ৫ জুলাই থেকে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত সেই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার পতনের পর থেকে অনেক প্রতিষ্টানে শিক্ষকরা প্রাণ নাশেক ভয়ে শ্রেণীকক্ষে যাননি। সেই শিক্ষক হোয়াটসঅ্যাপে প্রধান এর কাছে একটি মেসেজ করেছে সেটা আমাকে দিয়েছে আমি বিষয়টি দেখছি।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে