জেলহত্যা
মাহবুব দুলাল
ঢাকা শহর সেদিন নিশকাল অন্ধকার
থমথমে চারদিক-
রাতজাগা পাখি নিঃশব্দে ঘুমে বিভোর।
চাঁদের আলো আগেই হ’য়ে বিলিন
ক্ষয়ে ধরণীতে, নেই জোনাকির আলো-
তখনো জের কাটেনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের।
টলমলে দেশ প্রান্তর, ধুম্রজাল রাজনীতির,
রাজতক্তে কেউবা মত্ত-
কেউবা বন্দী, কেউবা নিরুদ্দেশ-নিষ্ক্রিয়,
মাঝি হারা নৌকা পায়না তীরের সাক্ষাৎ।
৭৫’র ১৫ আগষ্ট সেই রাতের ঘটনায়
শংকায় স্তম্ভিত অদ্ভুত দুঃস্বপ্নে আৎকে
উঠছে জাতি-
অতঃপর ৩ নভেম্বর ভোর নিরাপত্তার
সুতিকা কেন্দ্রীয় কারাগার-
মোসলেমের ঘাতক বাহিনী প্রধান
ফটকে আসীন-
অনড় কারারক্ষী রুখে দেয় তাদের,
টেলি যোগাযোগ- রাষ্ট্রপতি মোস্তাক
মেজর আব্দুর রশীদ দেয় আদেশ।
অস্ত্রধারীদের ভিতরে প্রবেশ-
জেগে উঠে পাগলা ঘন্টা, শব্দ গুলির।
১ নম্বর সেলে ব্রাস ফায়ার, এক মুহূর্তে
নিভে যায় প্রাণের স্পন্দন-
ঝাঝড়া ডায়েরী খাতা, কুরআনের পাতা,
নিথর দেহ পড়ে রয় জাতীয় চার নেতার।
আবারো রক্তাক্ত পতাকা, মানচিত্র-
গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে ওরা-
বরেন্দ্রের ক্ষনজন্মা হেনা আর তাজ, নজরুল
মনসুর স্বাধীন দেশের সোনার ছেলেরা-
কাপুরুষের তরে করেনি নতশির-
রক্ত দিয়ে উচ্চ করি শির, স্বাক্ষী বাংলাদেশ।
লেখক-সাংবাদিক ও কবি