প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা না তোলার পরামর্শ
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : চলমান পরিস্থিতিতে অহেতুক টাকা তুলতে বারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে পরামর্শ রেখেছে এক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অন্য ব্যাংকে না রাখার।
টাকা তুলতে গেলে অনেক ব্যাংক গ্রাহকের টাকা দিতে পারছে না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এসব কথা বলেন। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচনায় উঠে আসে সমসাময়িক নানা ইস্যু।
এ সময় মুখপাত্র আরও বলেন, অনেকে একসঙ্গে টাকা তুলতে যাচ্ছেন। এতে কিছু ব্যাংকের তারল্যসংকট তীব্র হয়েছে। আতঙ্কে-অপ্রয়োজনে বা এক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অন্য ব্যাংকে রাখার প্রবণতা না কমলে কোনো ব্যাংকের পক্ষেই সব গ্রাহকের টাকা একসঙ্গে ফেরত দেওয়া সম্ভব হবে না। পৃথিবীর কোনো ব্যাংকই সেটি দিতে পারবে না। অবশ্য এই নিয়ে তিনি গ্রাহকদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলেও দাবি করেন।
জানান, সবাই আমানতের টাকা ফেরত পাবেন। এতে কিছুটা সময় লাগবে। ইতিমধ্যে গ্যারান্টির বিপরীতে মোট সাতটি ব্যাংককে ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য-সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, দুই ডেপুটি গভর্নরকে পদত্যাগে বাধ্য করার কোনো এখতিয়ার বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেই। অবশ্য তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অর্থ উপদেষ্টাকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, যেখান থেকে তাঁরা নিয়োগ পান, সেখান থেকেই তাঁদের নিয়োগ বাতিল বা পদত্যাগে বাধ্য করার আদেশ আসতে হবে। এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু করার নেই।
উল্লেখ্য, পতিত আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে লুটপাটে সহায়তার সঙ্গী ডিজি নুরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমান এখনো বহাল তবিয়তে। এই নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করতে গভর্নরকে একাধিকবার স্মারকলিপি দেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়।