ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিচার দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২২; সময়: ১২:৩০ অপরাহ্ণ |
ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিচার দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ: শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল ও আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিচার দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে শহরের মুক্তির মোড় এলাকায় স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

মানববন্ধনে হৃদয় মণ্ডল ও আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা ছড়িয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টার প্রতিবাদ জানান বক্তারা। এ সময় তাঁরা শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল ও আমোদিনী পালের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাঁরা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করে যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ডিএম আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, একুশে পরিষদের উপদেষ্টা ও নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, সংগঠনের উপদেষ্টা ও নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিন, সংগঠনের সহ-সভাপতি মোস্তফা আল মেহমুদ, প্রতাপ চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে একটি জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু একটি চক্র বারবার বিভিন্নভাবে উস্কানিমূলক কথা বলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে এই চক্র এখনও সক্রিয় রয়েছে। এই কুচক্রী মহলের ধর্মীয় বিষবাষ্প ছড়ানোর এখন বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে সাামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এ দেশের সংখ্যালঘু ধর্মের মানুষকে মুসলিম বিদ্বেষী করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ধর্মকে ব্যবহার করে যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাঁদেরকে রুখতে হবে।

ডিএম আব্দুল বারী বলেন, শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল ও আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে যাঁরা ধর্মী সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্ত করেছে তাঁদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে তাদেরকে সহায়তা করা হবে। তারা উৎসাহ পাবে। ভবিষ্যতে তারা আবারও এ ধরণের ঘটনা ঘটাবে।

গত ২২ মার্চ ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে আটক করা হয়। পরে গত ১০ এপ্রিল তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়।

অন্যদিকে, গত ৮ এপ্রিল নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে হিজাব পড়ার অভিযোগে ছাত্রদের পেটানোর অভিযোগ তুলে পর দিন বিদ্যালয়ের হামলার ঘটনা ঘটে। পরে প্রশাসনের ঘটিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গত সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তদন্তে হিজাব পরে ছাত্রদের পেটানোর অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি। স্কুলড্রেস পরে না আসার কারণে ওই দিন শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও আরেক শিক্ষক বদিউল আলম শিক্ষার্থীদের পেটান।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে