বিয়ের ৩৫ বছর পর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসুল্লীয়াবাদ থেকে মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার (২৯ মে) গভীর রাত ৩টার দিকে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত মমতাজ বেগম (৫০) উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের আব্দুর রশিদ মুসল্লির মেয়ে এবং তার স্বামী শাহ আলম হাওলাদার (৫৮) উপজেলার একই গ্রামের বাসিন্দা। শাহ আলমের সঙ্গে তার ৩৫ বছরের সংসার জীবন ছিল। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ি ঘরজামাই থাকতেন শাহ আলম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৩৫ বছর আগে মমতাজ বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় শাহ আলম হাওলাদারের। বিয়ের পর থেকেই মমতাজকে তার স্বামী নানা অজুহাতে নির্যাতন করতেন। শাহ আলম কোনো কাজকর্ম না করায় মমতাজ বেগম বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে সংসার পরিচালনা করতেন।
বিষয়টি তার স্বামী স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে সংসারে প্রায়ই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ও কলহ সৃষ্টি হতো। এক সময় শাহ আলম তার স্ত্রীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
স্ত্রীকে হত্যার জন্য একাধিকবার বিভিন্ন পন্থা যেমন, বৈদ্যুতিক শক, পানিতে ডুবিয়ে হত্যা, গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করলেও হত্যা করতে সক্ষম হননি।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল গভীর রাতে শাহ আলম মহিপুরের লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসুল্লীয়াবাদে নিজ বাড়িতে পুকুর পারে বাগানের মধ্যে স্ত্রী মমতাজ বেগমকে নিয়ে যান।
আসামি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে মমতাজকে হত্যা করে।
মহিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আবুল খায়ের জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহ আলম হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।