অফিসে গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে ওঠার উপায়

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৩; সময়: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ |
অফিসে গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে ওঠার উপায়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : অফিসে অনেক বেশি কাজ করার পরও আপনার সহকর্মী ও বসের পছন্দের একজন হয়ে উঠতে পারছেন না? অফিসে কাজের সঠিক মূল্যায়ন না হলে, নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ একজন করে তুলতে না পারলে সেটি আসলেই কষ্টদায়ক।

আবার আপনি জানেনও না যে কেন এমন করা হচ্ছে। তবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ একজন করে তোলার জন্য আপনাকেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

আপনার কিছু কাজ পারে এটি সত্যি করতে। এখনই সময় অফিসের সবার ধারণা পরিবর্তন করার। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার করণীয়-

১. আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন

কর্মক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করুন। এটি সন্তুষ্টি বজায় রাখার অন্যতম চাবি। যখন মানুষ বুঝতে পারবে যে আপনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করেন এবং কথা বলেন, তখন আপনাকে গুরুত্ব দেবে এবং আপনার কাজে মনোযোগও দেবে। যারা নিজেকে সন্দেহ করা তারা গুরুত্ব এবং সম্মান পায় না।

২. অফিসে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করুন

অফিসে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখুন যাতে করে আপনি নিজেকে ভালো সহকর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার ফলে আপনি আপনার জায়গা করে নিতে পারবেন। তাদের কাছ থেকে ভালো পরামর্শ বা সাহায্য পাওয়াও সহজ হবে।

৩. সুন্দর করে কথা বলুন

আপনি যদি সবার সন্তুষ্টি পেতে চান তাহলে আপনাকে সুস্পষ্টভাষী হতে হবে। সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার ভালো দিক হলো তারা আপনার বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করবে। এটি আপনার কমিউনিকেশন স্কিলের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

৪. নিজের সীমানা তৈরি করুন

নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য আপনার ও সহকর্মীদের মধ্যে সীমানা তৈরি করতে জানতে হবে। সীমাবদ্ধতা থাকার মানে নিজের আচরণ সম্পর্কে সতর্ক থাকা। কাকে কতটুকু কী বলা যাবে বা যাবে না, সেদিকে খেয়াল রাখা। এতে সবার সঙ্গেই সম্পর্ক সুন্দর রাখা সহজ হবে।

৫. দায়িত্বশীলতা

কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হওয়া অত্যাবশ্যক কারণ এটি আপনার মনোবল বাড়িয়ে দেয় এবং সাফল্য নিশ্চিত করে। আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে সবার গুরুত্ব পেতে চান তবে নিজের কাজগুলো মন দিয়ে করতে হবে।

যদি আপনার সময়ের কাজ সময়ে করেন, তাহলে তা আপনাকে কাজের প্রতি দায়িত্বশীল একজন হিসেবে প্রমাণ করবে। একজন সৎ কর্মী হিসেবে আপনার উচিত সবাইকে সম্মান করা।

৬. “চেষ্টা” শব্দটি বর্জন করুন

“চেষ্টা” করার পরিবর্তে আপনার উচিত দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে সব কঠিন কাজের মুখোমুখি হওয়া। আপনাকে সব সময় সর্বদা আপনার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করতে হবে। আপনি “চেষ্টা” করবেন বললে বোঝায় যে আপনি কাজটি কীভাবে করবেন তা জানেন না বা আপনি নিজের কাজের ওপর আত্মবিশ্বাসী না।

৭. সময়ানুবর্তী হতে হবে

কর্মক্ষেত্রে আপনাকে সময়ানুবর্তী হতে হবে। এতে করে অফিসে দেরি হবে না এবং আপনার কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।

কাজে দেরি হলে আপনার পুরো দিনের রুটিনই এলোমেলো হয়ে যাবে। কাজের জন্য নির্দিষ্ট রুটিন ব্যবহার করুন এবং গুরুত্ব সহকারে নিজের দায়িত্বগুলো পালন করুন।

৮. আবেগপ্রবণ হবেন না

শ্রেষ্ঠ কর্মীরা কখনোই তাদের আবেগকে কাজের পথে বাধা হতে দেয় না। আপনি যদি আবেগপ্রবণ হন তাহলে লক্ষ্য হারিয়ে ফেলবেন এবং এতে করে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন।

সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় কিংবা কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মাথা ঠান্ডা রাখুন। আপনি যদি সবসময় মাথা ঠান্ডা রাখেন তবে আপনার সহকর্মীরা শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনার কথা শুনবে এবং তাদের মতামত দিতেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।

৯. অজুহাত দেওয়া বন্ধ করুন

কর্মক্ষেত্রে অজুহাত দুর্বলতার চিহ্ন। যদি আপনাকে কোনো কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় তবে তা সঠিকভাবে পালন করুন। তাতে কাজটি যতোই কঠিন হোক না কেন। অজুহাত তৈরি করলে তা হয়তো আপনাকে কিছু কাজ থেকে বাঁচিয়ে দেবে, তবে এতে আপনি অফিসের কাছে নিজের গুরুত্ব হারাবেন।

১০. অন্যদের সম্মান করুন

অন্যকে সম্মান করলে আপনিও সম্মান পাবেন। সহকর্মীদের সঙ্গে অভদ্র বা দাম্ভিক আচরণ করলে তারাও আপনার সঙ্গে একই রকম আচরণ করবে। সহকর্মীদের সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলুন, তাদের প্রশংসা করুন, তাদের আইডিয়া শুনলে উৎসাহ করুন এবং তাদের মতামত গ্রহণ করতে শিখুন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে