রাজশাহীর মজাদার স্টিড ফুড
আফসানা সেতু : বিকালেই আমরা ঘুরতে বের হই আর ঘুরতে গেলে আমরা খেয়ে থাকি বিভিন্ন ধরনের খাবার । তার মধ্যে স্পিড ফুড গুলো আমাদের বেশি প্রিয়। যেমন ফুচকা, হালিম , ভেলপুরি ,সিঙ্গারা, সমুচা, পুরি নুডলস, চপ , কিমা, ঝালমুড়ি অধিক প্রিয়। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা, ভীর জমায় দোকানগুলোতে।
প্রত্যেকটি মেয়ে যেন চোখ বন্ধ করেই ফুচকার জন্য পাগল । ফুচকা দেখলে তাদের লোভ সামলিয়ে রাখা দায়।
ফুচকা হচ্ছে বাংলাদেশের স্টিট ফুডের তালিকায় সর্বপ্রথম। এমন কোন জায়গা নেই যেখানে খোঁজ করলে ফুচকা প্রেমিক পাওয়া যাবে না ।
গোল গোল মুচমুচে ফুচকার মধ্যে ঘুগনি ও আলুর সংমিশ্রণের তৈরি পুর দেওয়া হয়। এই ফুচকা বানানোর প্রধান উপাদান সাথে রয়েছে টক জল। টক এর মধ্যে অনেক মসলা দেওয়া হয় যার জন্য স্বাদ অধিক বেড়ে যায়।
ভেলপুরি ও সকলের অধিক প্রিয় এটিও কিছুটা ফুচকার মত । এর ভেতরেও ঘুগনি মরিচ , পেঁয়াজ কুচি কিছু মসলা দেওয়া হয় এর উপর দিয়ে শসা ,টমেটো ,গাজর কুচি করে দেয়া হয় তার সাথে রয়েছে টক পানি ও বিট লবণ। ফুচকার দোকানে আরো পাওয়া যায় হালিম চটপটি এগুলো খেতেও বেশ মজা।
এগুলো প্রতিপ্লেট ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হয়। চপ, কিমা ৫ টাকাতে পাওয়া যায়।
ঝালমুড়ির প্রচলন রয়েছে বাংলাদেশের স্টিট ফুড গুলোর মধ্যে ব্যাপক। ঝালমুড়ির দোকান যেখানে সেখানেই আমরা দেখতে পাই স্কুলের সামনে ছোট বাচ্চারা ঝালমুড়ি খায়, কলেজের সামনে ,বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে যেখানে সেখানে আমরা ঝালমুড়ির দোকানগুলো দেখতে পাই।
আর একটা খাবার হচ্ছে শিক কাবাব, জালি কাবাব ইত্যাদি । সাথে যদি থাকে নান রুটি তাহলে তো কোনো কথাই নেই। অলিতে গলিতে খোঁজ করলে পাওয়া যাবে এই শিক কাবাব। সিঙ্গারা ,পুরির জনপ্রিয়তাও কম নয়।
রাজশাহী শহরের অলিতে গলিতেতে এই দোকানগুলো পাওয়া যায়। তার মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কাজলা গেট, সাহেব বাজার, রানিবাজার , বাটার মোড় ইত্যাদি জায়গা গুলোতে বিকাল হলেই এই দোকানগুলোতে ভিড় জমায় নগরবাসীরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কাজলা গেটে ফুচকা বিক্রেতা ইব্রাহিমবলেন, বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত খুব বেশি বিক্রি হয় তার এই স্টিডফুড গুলো। সকলে সেটা খুব সাদরে গ্রহণ করে ।
শেখ রাসেল মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী সাথী বলেন, সারাদিন ক্লাস শেষ করে বিকেল বেলা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে বের হয়। আর তখনই খাবারগুলো খায়। খাওয়ার জন্য রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে যাই ,দামে মোটামুটি সস্তা। বন্ধুদের নিয়ে এগুলো খেতে খুব ভালো লাগে।
রাজশাহীর স্থানীয় বাসিন্দা জয় বলেন, তিনি সন্ধ্যা হলেই বেরিয়ে পড়েন। বাসার পিচ্চি ও বাকিদের জন্য হালিম ,ফুচকা কিনতে । তারা খুব মজা করে বাসায় এগুলো নিয়ে গিয়ে খায়। সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে এগুলো আগে খাই তারপর চা পান করা হয়।