ঢাকা-১৪ আসনে জমে উঠেছে নিখিল-তুহিনের লড়াই

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩; সময়: ১:৩৪ অপরাহ্ণ |
ঢাকা-১৪ আসনে জমে উঠেছে নিখিল-তুহিনের লড়াই

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : একজন সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি, আরেকজন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক। একই দলের হলেও নির্বাচনের মাঠে এখন তারা প্রতিদ্বন্দ্বী। এই চিত্র ঢাকা-১৪ আসনের।

এখানে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। আর ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন। দু’জনের প্রচারণা চালছে সমানতালে। এ ছাড়া, যুবলীগের আরেক নেতা জেড আই রাসেল ঈগল প্রতীকে এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী। এলাকায় ঈগলের ওড়াউড়ি তেমন চোখে না পড়লেও নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে।

২০০১ সালের নির্বাচনে এখানে এমপি হন বিএনপির এস এ খালেক। এর পর ২০০৮ সালের ভোটে জয়ী হন আওয়ামী লীগের আসলামুল হক। প্রদত্ত ভোটের ৬০ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোট পান তিনি। আর বিএনপির প্রার্থী পান ৩৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোট। ২০১৪ সালে বিএনপিবিহীন নির্বাচনে জয়ী হন আসলাম। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১ লাখ ৯৭ হাজার ১৩০ ভোট পেয়ে আবার জয়ী হন নৌকার প্রার্থী আসলামুল হক। আর বিএনপির সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক সাজু পান ৫৪ হাজার ৯৮১ ভোট। সাজুর বাবা এস এ খালেক এখানে একাধিকবারের এমপি। সাজুর বড় ভাই মো. মোহসীন ধানের শীষ প্রতীকে এখানে ড. কামাল হোসেনকে পরাজিত করেন ১৯৯১ সালে। অর্থাৎ এখানে বিএনপির বড় ভোটব্যাংক রয়েছে। তার ওপর এবার আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। এতে নিজেদের ভোটই ভাগাভাগি হবে।

এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির ভোটারদের টানার চেষ্টা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আক্তার তুহিন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ অপ্রকাশ্যে রয়েছে তুহিনের পক্ষে। তবে নিখিল প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় সেই আওয়াজ বাইরে পাওয়া যাচ্ছে কম। সাবিনা আক্তার তুহিন বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার সাহস কারও নেই। এ রকম কেউ এলাকায় পয়দা হয়নি। স্বাচ্ছন্দ্যেই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।’ এলাকাবাসী ট্রাক মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এখানে নৌকার জোয়ার উঠেছে। এই জোয়ারে কেউ টিকবে না।’

কাগজ-কলমে এ আসনে প্রার্থী ১৩ জন হলেও দু’জন (নৌকা ও ট্রাক) ছাড়া অন্যদের প্রচারণা তেমন নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী জেড আই রাসেলের কিছু পোস্টার দেখা গেলেও তার তৎপরতা কম। এ ছাড়া এখানে রকেট প্রতীকে এমরুল কায়েস খান স্বতন্ত্র প্রার্থী, দালান প্রতীকে মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম টেলিভিশন প্রতীকে, জাতীয় পার্টির আলানাস উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীকে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের আবু হানিফ মশাল প্রতীকে, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের আসিফ হোসেন ছড়ি প্রতীকে, তৃণমূল বিএনপির নাজমুল ইসলাম সোনালি আঁশ প্রতীকে, এনপিপির মাহবুব মোড়ল আম প্রতীকে এবং সুপ্রিম পার্টির শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ একতারা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এলাকাবাসী তদের তেমন চেনেন না বলে জানান। চায়ের আড্ডায়ও তাদের নিয়ে আলোচনা নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে