অতিরিক্ত টোল আদায়, মুচলেকায় ছাড়া পেল সেই ২ আদায়কারি
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভা এলাকার বালুঘাটে ট্রাক থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগে দুজনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছে পুলিশ। এবার এই টোল আদায়ের ইজারা পেয়েছে মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ইজারা নেওয়ার পর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন প্রতিষ্ঠানটি বালুবাহী ট্রাক থেকে টোল আদায় শুরু করে।
আর প্রথম দিনই তারা সরকারিভাবে নির্ধারিত ১২০ টাকা টোলের পরিবর্তে ট্রাকপ্রতি জোরপূর্বক ৫০০ টাকা করে আদায় করে। এনামুল হক নামে এক ট্রাকচালক অতিরিক্ত টোল দিতে না চাইলে তাকে মারধরও করা হয়। পরে এনামুল পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ দিলে গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে গোদাগাড়ী থানা-পুলিশ পৌরসভার তৌমুরের মোড় এলাকায় বালুঘাটে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে।
তারা হলেন, জাহাঙ্গীর আলম ও রকিবুর রহমান। তাদের বাড়ি গোদাগাড়ীর সারাংপুর এলাকায়। তারা ট্রাকের টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মুন এন্টার প্রাইজের পক্ষ থেকে টোল আদায় করছিলেন।
আর অতিরিক্ত টোল আদায় করা হবে না, এমন মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে ভুক্তভোগী ট্রাকচালকের অভিযোগ, তিনি লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা নেয়নি। আটকদের মুচলেকা নিয়েই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ট্রাকচালকেরা জানিয়েছেন, এ বছর গোদাগাড়ী পৌরসভার ট্রাকের লোড-আনলোডের টোল আদায়ের ইজারা পায় রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার মুখলেসুর রহমান মুকুলের প্রতিষ্ঠান মেসার্স মুন এন্টার প্রাইজ।
ইজারার নিয়ম অনুযায়ী ১ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) থেকে গোদাগাড়ী পৌরসভা এলাকায় ট্রাকের লোড-আনলোডের টোল আদায় শুরু করে। তারা জোতগোসাই তৌমুরের মোড়ে বালুবাহী যানবাহনের টোল আদায় করে। সারেংপুর ঘাট থেকে বালুগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ট্রাক প্রতি ১২০ টাকার বিপরিত ৫০০ টাকা এবং ট্রলি প্রতি ৩০ টাকার বিপরিতে ২০০ টাকা হারে আদায় করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ইজারাদার মুখলেসুর রহমান মুকুলকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে মুকুলের বালুঘাটের টোল আদায় দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মো. বাবু বলেন, ‘ইজারাদার যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, কর্মচারীরা সেভাবেই টোল আদায় করে থাকেন। এ বিষয়ে ইজারাদার ভালো বলতে পারবেন।’
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন ভুক্তভোগী ট্রাকচালকের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ না করার বিষয়ে বলেন, ‘আমি সময় মতো অভিযোগটি পাইনি। মুচলেকা নিয়ে দুজনকে ছেড়ে দেওয়ার পর হয়তো অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। আর অতিরিক্ত টোল আদায় করা হবে না, এ রকম মুচলেকা আদায় করা হয়েছে।’