সুজানগরে দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, ওসি প্রত্যাহার
এম এ আলিম রিপন, সুজানগর : পাবনার সুজানগরে দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় যোগদানের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় প্রত্যাহার করা হয়েছে থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাকিউল আযমকে। গত বুধবার রাতে তাকে প্রত্যাহার করে পাবনা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এবং উপজেলার কামালপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি গোলাম মোস্তফাকে সুজানগর থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পদায়ন করা হয়। প্রত্যাহারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিদায়ী ওসি সাকিউল আযম।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী সুবোধ কুমার নটো জানান, মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে সুজানগর পৌরসভার নিশীপাড়া ও পালপাড়া এলাকায় দুটি দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে ভীতি ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এতে প্রশাসন বিব্রতকর অবস্থায় পরে। এরই প্রেক্ষেতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সুজানগর থানায় নতুন যোগদানকৃত ওসি সাকিউল আযমকে বুধবার(০২অক্টোবর)প্রত্যাহার করা হয়। মানিকদীর (পালপাড়া)মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী বিজন কুমার পাল জানান, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে প্রতিমা তৈরির কারিগর এবং মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ সেখান থেকে বাড়ি চলে যান। পরে বুধবার সকালে মন্দিরে গিয়ে দেখেন, গণেশ, লক্ষ্মীর ও দেবী দুর্গার মূতির মাথার অংশ ভাঙা।
এরপর বিষয়টি প্রশাসনকে জানান তারা। এ ঘটনার ৩ দিন পূর্বে পৌরসভার নিশীপাড়া দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা বলে জানান ওই মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী টিপু দাস। খবর পেয়ে বুধবার পাবনা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও র্যাব কর্মকর্তাবৃন্দ মন্দির পরিদর্শন করেন। সুজানগর থানার নতুন ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, প্রতিমা ভাঙচুরে জড়িতদের আটকে মাঠে নেমেছে পুলিশ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে দুর্গামন্দিরের নিরাপত্তায় পৌরসভার সকল মন্দিরে ২ জন করে আনসার সদস্য এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিটি মন্দিরে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।