এটাকে আপনারা কবিতা বলবেন?
জুলফিকার মতিন
জন্মাচ্ছে মানুষ, হয়ে যাচ্ছে শূকর–
এটা কি পরাবাস্তবতা, না যাদুবাস্তবতা?
বাজার থেকে কিনে আনছে আলু, বাড়ীতে এসেই দেখা যাচ্ছে
থলির ভেতর অপেক্ষা করছে লাউ ডুগডুগি হবার।
তবে তাতে চিন্তার কিছু নেই
ব্যাখ্যা দেবার জন্য তো মুখিয়ে আছেন শিল্পসমালোচকেরা।
চিংড়ি চাষের মতোই এখন তত্ত্বের ঘের বানিয়ে
সমস্ত জগৎ সংসারটার চারপাশেই বসানো হয়েছে পাহারা,
আগে যেমন সৈন্যসামন্ত দিয়ে দখল করে রাখা হতো ভূমি,
তত্ত্বের সাম্রাজ্যটাও তেমন ভাবে আগলে রাখা যে ভীষণ প্রয়োজন
বাজার থেকে কেউ যেন তাজা গোলাপ ফুল কিনে নিয়ে গেলেই
সভ্যতার চাকাটা হয়ে যাবে নড়বড়ে।
চার হাত লম্বা নাকওয়ালা দুহাতের মানব সন্তান বানিয়ে
কত যে বাহবাই পেলেন পিকাসো,
দেবী দুর্গারও হাত দশটা দিয়েছিলেন পূরাণকারেরা,
ওটা তো ছিল রনহাৎ-ই ধর্মের ব্যাপার।
হাতে অঢেল টাকা-
আন্দোলন তো করতেই হবে জুয়া খেলার অধিকার পাবার জন্য!
বড়লোকদের সুখ-সুবিধা? তা দেখার জন্য আইন না বানালে কি চলবে?
ভোগতন্ত্রের এই উত্থান থেকে বদলে যাবে সমাজের কাঠামো,
নারী থাকবে–ভালোবাসা থাকবে না।
পুরুষ থাকবে– কেউ ভালোবাসার নাম নেবে না।
আর কখনো ভেসে আসবে না সন্ধ্যার গানঃ
–‘নয়ন কোণে মোর সজল বরষা থাক না গোপনে’।
আর একটা কাজও করতে হবেঃ পুঁতে দিতে হবে কিংবদন্তীর গাছ।
একটা সিন্ডিকেট কাউকে কাউকে লটকে দেবে তাতে।
সেখানে তারা তো ঝুলতে থাকবেন অমর হয়ে…
আর বাকীরা?– আপনারাই পূরণ করুণ শূন্যস্থানটা।