কুষ্টিয়ায় টেন্ডার ছিনতাই মামলার আসামীদের পক্ষে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৩; সময়: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ |
কুষ্টিয়ায় টেন্ডার ছিনতাই মামলার আসামীদের পক্ষে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় মেয়র কার্যালয়ে টেন্ডার ছিনতাই ও চুরির ঘটনায় মডেল থানায় করা পৃথক দুটি মামলা প্রত্যাহার দাবিতে থানা ঘেরাওসহ শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেছে শহর আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলি। বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচী চলে।

এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ড্রেস পরিহিত ছাত্র/ছাত্রীদেরও এই ঘেরাও ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে দেখা যায়। কয়েকজন কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান, ‘এখানে কি কর্মসূচী সে বিষয়ে তারা কিছুই জানেনা, বড় ভাইয়েরা ডেকে নিয়ে এসেছে’।

তবে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘একজন প্রভাবশালী নেতা ফোন করে শিক্ষার্থীদের ওই কর্মসূচীতে পাঠানোর অনুরোধ করেছেন’।

এছাড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুর সভাপতিত্বে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগসহ পৌর ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে অংশ নেই।

এসময় নেতৃবৃন্দ গত ২৬ ফেব্রুয়ারী টেন্ডার ছিনতাই ও মেয়র কার্যালয়ে চুরির অভিযোগে পৃথক ভাবে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় করা মামলা আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার দাবি করে অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচী দিয়ে শহর অচল করার আলটিমেটাম দেন নেতৃবৃন্দ।

তবে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুর দাবি ছাত্র-ছাত্রীরা নিজের ইচ্ছায় কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে তারা কোন প্রভাব খাটাননি।

অপরদিকে পৌর মেয়র কার্যালয়ে চুরির সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও চুরি যাওয়া প্রযুক্তি ডিভাইসসহ মালামাল উদ্ধার এবং জীবনের নিরাপত্তা দাবিতে লাগাতার কর্মসূচী পালন করে আসাছে পৌরসভার কাউন্সিলর কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

পৌর মেয়র আনোয়ার আলীর নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে এই কর্মসূচী থেকেও আলটিমেটাম ঘোষণা করেন নেতৃবৃন্দ।

এদিকে পক্ষে বিপক্ষে আন্দোলন কর্মসূচী চলাকালে শহরের প্রধান সড়কে যানজটসহ জনগনের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে বলে পথচারীদের অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া গ্রামের তাইজালের স্ত্রী রুমানা খাতুন প্রসব বেদনা নিয়ে থানাপাড়াস্ত আদ্বদীন হাসপাতালে যাওয়ার পথে ঘন্টাধিককাল আটকে থেকে জ্ঞানশুন্য হয়ে পরেন এমন অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন খান এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তিনি বলেন, ‘এব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করবো না, আমি যায়ও নি, আমি শুনিও নি, তারা শান্তিপূর্ন কর্মসূচী পালন করেছে এমন কথা
আমি বলবো না। আসছিলো তারা মানব বন্ধন করেছে বক্তব্য দিছে এই’।

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে