কোরআনে যে দুই নারীর প্রশংসা করা হয়েছে
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : কোরআনে আল্লাহ তায়ালা দুই নারীর প্রশংসা করেছেন। এ দু’জন নারীর একজন বিশ্বসেরা নাস্তিক ও দাম্ভিক সম্রাট ফেরাউনের পুণ্যশীলা স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুযাহিম। তিনি মূসা আলাইহিস সালামের দাওয়াতে সাড়া দিয়ে আল্লাহর ওপর নিজের ঈমান আনার কথা ঘোষণা করেন।
এর কারণে ফেরাউনের ঘোষিত মৃত্যুদন্ড তিনি হাসিমুখে বরণ করে নেন। কোন কোন রেওয়ায়াত অনুসারে আল্লাহ পাক দুনিয়াতেই তাকে জান্নাতের গৃহ প্রদর্শন করেছেন।
চতুর্থ জন হলেন হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের মাতা মারিয়াম বিনতে ইমরান। স্বীয় ঈমান ও সৎকর্মের বদৌলতে তিনি আল্লাহর কাছে মহান মর্যাদার অধিকারিণী হন। এ থেকে বুঝানো হয়েছে যে, পুরুষ হোক বা নারী, প্রত্যেকে স্ব স্ব ঈমান ও আমলের কারণে জান্নাতের অধিকারী হবে, অন্য কোন কারণে নয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
ضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا لِّلَّذِیۡنَ کَفَرُوا امۡرَاَتَ نُوۡحٍ وَّامۡرَاَتَ لُوۡطٍ ؕ کَانَتَا تَحۡتَ عَبۡدَیۡنِ مِنۡ عِبَادِنَا صَالِحَیۡنِ فَخَانَتٰہُمَا فَلَمۡ یُغۡنِیَا عَنۡہُمَا مِنَ اللّٰہِ شَیۡئًا وَّقِیۡلَ ادۡخُلَا النَّارَ مَعَ الدّٰخِلِیۡنَ ١۰ وَضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوا امۡرَاَتَ فِرۡعَوۡنَ ۘ اِذۡ قَالَتۡ رَبِّ ابۡنِ لِیۡ عِنۡدَکَ بَیۡتًا فِی الۡجَنَّۃِ وَنَجِّنِیۡ مِنۡ فِرۡعَوۡنَ وَعَمَلِہٖ وَنَجِّنِیۡ مِنَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ ۙ ١١ وَمَرۡیَمَ ابۡنَتَ عِمۡرٰنَ الَّتِیۡۤ اَحۡصَنَتۡ فَرۡجَہَا فَنَفَخۡنَا فِیۡہِ مِنۡ رُّوۡحِنَا وَصَدَّقَتۡ بِکَلِمٰتِ رَبِّہَا وَکُتُبِہٖ وَکَانَتۡ مِنَ الۡقٰنِتِیۡنَ ٪ ١٢
যারা কুফরী করে, আল্লাহ্ তাদের জন্য দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন নূহের স্ত্রী ও লুতের স্ত্রীর, তারা ছিল আমার বান্দাদের মধ্যে দুই সৎকর্মপরায়ণ বান্দার অধীন।
কিন্তু তারা তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। ফলে নূহ ও লুত তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি হতে রক্ষা করতে পারলেন না এবং তাদেরকে বলা হল, তোমরা উভয়ে প্ৰবেশকারীদের সাথে জাহান্নামে প্ৰবেশ কর।
আর যারা ঈমান আনে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ ফেরাউনের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন। সে প্রার্থনা করেছিল, ‘‘হে আমার প্রতিপালক!
তুমি আমার জন্য তোমার নিকট জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে দাও আর আমাকে তুমি ফেরাউন ও তার (অন্যায়) কার্যকলাপ থেকে রক্ষা কর, উদ্ধার কর আমাকে যালিম সম্প্রদায় থেকে।’’
(আল্লাহ আরও উদাহরণ পেশ করেন) ইমরান কন্যা মারয়াম-এর, যে নিজের সতীত্ব রক্ষা করেছিল, ফলে আমি তাতে আমার রূহ থেকে ফুঁকে দিয়েছিলাম।
আর সে তার রবের বাণীসমূহ ও তার কিতাবসমূহের সত্যতা স্বীকার করেছিল এবং সে ছিল অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা তাহরিম, (৬৬), আয়াত, ১০-১২)