তুমি অমর
সেদিন রাতে চাঁদ-তারাসহ অন্য নক্ষত্ররা জাগেনি তোমার পাহারায়; ঘুমিয়ে ছিল তোমার দেশের সব মানুষ। গাছ-গাছালি, পাখ পাখালিরা– বীভৎসের তান্ডবে শব্দ হারিয়ে কিচির-মিচির করেনি সেদিন। সেদিন, তোমার জন্মভূমির কেউ ভাবেনি তোমার..
বাঙ্গালী হায়েনা
জোনাকির নিভে-জ্বলা আলোয় দেখবে দেশ, তাই ওরা মেতেছিল- ঘাপটি মেরে থাকা সৈনিক নামের একদল কাপুরুষ। স্বাধীন দেশে পাকিস্তানের হারানো বদলা নিতে উদ্যোত তারা- বাঙলার সুর্যের তাপ ও আলো নেভাতে ওরা দিশেহারা। সুর্যের আলো তো..
আতঙ্কে আজ বিশ্ব
এসেছিলে তুমি ১৯সনের শেষাংশে, দিয়েছিলে প্রথম চীনে হানা, তুমি গজব, নাকি চীনের আবিষ্কার, হয়নি আজও জানা।। তোমার কারণে সারা বিশ্বের মানুষের ভয়, কখন যে কার প্রাণঘাতী করোনা হয়! ভাইরাসের প্রতিষেধক কবে হবে বের, চেষ্টায় আছে..
কান্তকবি রজনীকান্ত সেন
মুস্তাফিজুর রহমান খান : “মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই। দ্বীন-দুঃখিনী মা যে তোদের তার বেশী আর সাধ্য নেই।” ব্রিটিশ শাসনামলে বিদেশী পণ্য বর্জনের লক্ষ্যে রচিত কালজয়ী গান এর মাধ্যমে পরিচিতি যার, তিনি রাজশাহীর..
সঙ্গ, নি-সঙ্গ কিংবা সঙ্গনিরোধ কাব্য
লাবণ্য প্রভা ০১ মরে যাওয়ার আনন্দই আলাদা। যদিও সকলের মরে যাওয়ার স্মৃতি এক নয়। এক নয় বেঁচে থাকার স্মৃতিও। মনে পড়ে, বহুবার বহুবার আমি মরে গিয়েছিলাম।আমাদের নির্জন হিমঘরে কতোবার মরে পড়ে ছিলাম।আমার ফ্রিজ ভর্তি..
এটাকে আপনারা কবিতা বলবেন?
জুলফিকার মতিন জন্মাচ্ছে মানুষ, হয়ে যাচ্ছে শূকর– এটা কি পরাবাস্তবতা, না যাদুবাস্তবতা? বাজার থেকে কিনে আনছে আলু, বাড়ীতে এসেই দেখা যাচ্ছে থলির ভেতর অপেক্ষা করছে লাউ ডুগডুগি হবার। তবে তাতে চিন্তার কিছু নেই ব্যাখ্যা..
পথ পাড়ি দেয়া রথের অসুখ
কামরুল বাহার আরিফ নির্বাক অশ্রুচোখে দাঁড়িয়ে আছে আমার পথ সে পথে ডুবে ডুবে এগিয়ে যাচ্ছে নিঃশব্দ রথ আমার মা কাঁদছে কষ্টের অশ্রু গলে গলে ঝরনা হয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে রক্ত বর্ণে রক্ত সব সময় আগুনরঙা থাকে না পঁচে পঁচে এক সময়..