পল্লবীতে শাহিন হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন পেছাল
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাজধানীর পল্লবীতে নিজ সন্তানের সামনে কুপিয়ে শাহিন উদ্দিনকে হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়ে আগামী ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (২৫ জুন) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় পুনঃতদন্ত দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা বিষয়টি জানিয়েছেন।
গত বছরের ১২ মে শাহিন উদ্দিনের মায়ের নারাজি আবেদন গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
অভিযোগপত্রে উল্লিখিত অন্য আসামিরা হলেন— সুমন ব্যাপারী, টিটু, কিবরিয়া, মুরাদ হোসেন, আবু তাহের, ইব্রাহিম সুমন, রকি তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ, তারিকুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাসান ও ইকবাল হোসেন। সুমন ও শফিকুল ছাড়া বাকি ১৩ আসামি কারাগারে। তাদের মধ্যে ৯ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০২১ সালের ১৬ মে শাহিন উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের পর ওই রাতেই পল্লবী থানায় সাবেক এমপি আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা আকলিমা বেগম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক শাহিন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন। শাহিন উদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে তাকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যান।
এসময় শাহিন উদ্দিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিলেন। গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাকে চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়।
এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যান। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
