রুয়েট ছাত্রলীগের সম্মেলন ঘিরে দৌঁড়ঝাপে ব্যস্ত পদপ্রত্যাশীরা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩; সময়: ২:৫৪ অপরাহ্ণ |
রুয়েট ছাত্রলীগের সম্মেলন ঘিরে দৌঁড়ঝাপে ব্যস্ত পদপ্রত্যাশীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : দীর্ঘ সাতবছর পর নতুন কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের চতুর্থ সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সম্মেলনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেতৃত্বে আসতে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন অনেকেই।

ক্যাম্পাসে নিয়মিত শোডাউনও দিচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা। নেতৃত্বে আসতে পারেন এমন কিছু পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতার নাম এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে ক্যাম্পাসটিতে।

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে ক্লিন ইমেজধারী, সৎ, যোগ্য এবং নেতৃত্বদানে যোগ্যতাতাসম্পন্ন পদপ্রত্যাশীদের দায়িত্ব দেয়া হবে, না-কি অর্থের বিনিময়ে নেতৃত্বে চলে আসবেন দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজিতে জড়িতরা এসব নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

সবকিছু ছাপিয়ে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন নেতৃত্বে আসার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক লাশিউর রহমান নাহিদ, সহ-সভাপতি এম. এম. ওসমান হায়দার তমাল, কার্যনির্বাহী সদস্য সৌমিক সাহা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছালাতিজ্জোহা ইফতি এবং সহ-সভাপতি ফাহমিদ লতিফ লিয়নসহ আরও অনেকেই।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লাশিউর রহমান নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাসা গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায়।

তমাল যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাসা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। সৌমিক কম্পিউটার কৌশল বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাসা ফরিদপুর সদর উপজেলায়।

ইফতি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাসা রাজশাহীর বোয়ালিয়াতে। লিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাসা নীলফামারীতে।

রুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নেতৃত্ব সম্পন্ন এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে স্বোচ্চার থাকবেন এমন নেতৃত্বের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে স্থানীয় ও বাইরের যোগ্য পদপ্রত্যাশীদের সম্মিলিত নেতৃত্ব দেখতে চান তারা।

রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক রবিউল আউয়াল বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে পাশে নিয়ে রুয়েট ক্যাম্পাসে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার মতো যাদের যোগ্যতা রয়েছে তাদের হাতেই নেতৃত্ব দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম রহমান নিবির বলেন, রাজশাহীতে একসময় শিবিরের আস্তানা ছিলো। এখনো কিছুটা প্রভাব রয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিবিরসহ অন্য অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।

তাদেরকে দমন করে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে যারা রাজনীতি করে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখবে এমন নেতৃত্বই দায়িত্ব পাবে বলে আশা করি।

পরিচ্ছন্ন ইমেজ ও সততা থাকবে জানিয়ে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসফাক ইয়াসশির ইপু বলেন, যারা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবে তাদের মধ্য থেকেই নেতৃত্বে আসবে। যারা স্মার্ট ছাত্রলীগের ম্যান্ডেট নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে যুবসমাজকে নিয়ে সামনের জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করে নিয়ে আসার যোগ্যতা যাদের থাকবে তারাই নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে থাকবে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, রুয়েটের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের কাছে যারা গ্রহণযোগ্য; শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য যাদের দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব ও স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে এবং যারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আপসহীন দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে তারাই রুয়েট ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসবে।

 

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে