উপস্থিত না থেকেও মারামারির মামলায় আসামী পিতা-পুত্র

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৩; সময়: ৮:২০ অপরাহ্ণ |
উপস্থিত না থেকেও মারামারির মামলায় আসামী পিতা-পুত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া থানা এলাকায় একটি মারামারির ঘটনার সময় উপস্থিত না থেকেও মামলার আসামী হয়েছেন পিতা ও পুত্র। গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর ) দুপুরে আইডি বাগানপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামকে (৩৮) মারপিট করে জখম করার ঘটনায় আহত রফিকুলের পিতা একরাম আলী বাদি হয়ে রোববার সকালে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

কিন্তু ঘটনা স্থলে উপস্থিত না থাকার পরেও ১ নং আসমী করা হয়েছে লক্ষীপুর আইডি টিবি হাসপাতাল কোয়ার্টারের শামসুদ্দিন সবুরের ছেলে আরিফুল ইসলাম টাইগার ও তার ছেলে বিলাশকে।

রাজপাড়া থানার ওসি রফিকুল হক সব কিছু জানার পরেও মিথ্যা অভিযোগে রোববার রাতেই আরিফুল ইসলাম টাইগারকে আটক করে । পরে অভিযোগটি রাতেই মামলা হিসাবে এজাহার নিয়ে ওই মামলায় আরিফুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, লক্ষপিুর আইডি বাগানপাড়া এলাকার একরাম আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে র্দীঘদিন যাবত বিরোধ চলছিলো ওই এলাকার আলমগীর নকিরের ছেলে আবিরের সাথে। পূর্ব শত্রুতার জেরে গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) লক্ষীপুর আইডি হাসপাতালের মাঠে দুপুর ৩ টার দিকে একরাম আলীর ছেলেকে একা পেয়ে মারপিট করে জখম করে আবির। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রফিকুলকে দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আহত অবস্থায় রফিকুল রামেক হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় গত রোববার রফিকুলের পিতা একরাম আলী তিন জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত না করেই রোববার রাত ১০ টার দিকে লক্ষীপুর আইডি টিবি হাসপাতাল কোয়ার্টারে শামসুদ্দিন সবুরের ছেলে আরিফুল ইসলাম টাইগারকে আটক করে রাজপাড়া থানা পুলিশ। পরে রাত ১২ টা দিকে অভিযোগটি এজাহার হিসাবে এন্ট্রি করে সেই মামলায় আটক দেখিয়ে সোমবার রাজশাহীর আদালতে পাঠান।

ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, শক্রবার সকাল ৬ টার দিকে আরিফুল ইসলাম টাইগার ও তার ছেলে বিলাশসহ ৫ থেকে ৬ জন মাছ মারতে মোহনপুরে যায়। সেখানে দুপুরে খাওয়া দাওয়া ও মাছ মারার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে। এছাড়া আরিফুল গত মাস খানেক আগে ভারতে গিয়ে গুরুতর একটি অস্ত্রপাচার করে দেশে আসেন। তার শরীরের ক্ষত ঠিকমতো সারেনি এখন পর্যন্ত। সে অসুস্থ মানুষ, তিন বেলায় তাকে ঔষধ খেতে হয়। এক বেলা ঔষধ না খেলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

আরিফুল ও তার ছেলে কোন ভাবেই মারামারির ঘটনায় জড়িতো না। রাজপাড়া থানা পুলিশ রফিকুলের পিতা একরাম আলীর অভিযোগ তদন্ত না করেই ১ নং আসামী করে আরিফুল ইসলাম টাইগারকে ও ৩ নং আসামী করে বিলাশকে। একটি চক্র মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে পিতা ও পুত্রকে। থানা পুলিশ ও থানার অফিসার ইনচার্জ সব কিছু জানার পরেও পরিকল্পিত ভাবে এ মিথ্যা মামলায় আরিফুল ও তার ছেলে বিলাশকে ফাঁসিয়েছে। এমন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্থক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

এ বিষয়ে আরএমপির মিডিয়া মুখপাত্র জামিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদত্ত করে দেখা হবে। ঘটনা সঠিক হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে