ভোটের মাঠে লড়তে চান রাজশাহীর ৪ নারী

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৩; সময়: ৩:৪৩ pm |
ভোটের মাঠে লড়তে চান রাজশাহীর ৪ নারী

আব্দুল বাতেন : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সারা দেশে শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের দৌড়ঝাঁপ। গত শনিবার ১৮ নভেম্বর থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা নেয়া শুরু করে আওয়ামী লীগ। চলবে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত।

নির্বাচনে নেতাদের পাশাপাশি সরাসরি ভোটযুদ্ধে লড়তে আগ্রহী নেত্রীরা। যাদের মধ্যে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন এমন অনেকেই দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রত করে জমা দিয়েছেন। এতে পিছিয়ে নেয় রাজশাহীর নেত্রীরাও।

এবারের নির্বাচনে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়ার লক্ষে চারজন নারী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয় ফরম উত্তোলন করেছে। এছাড়াও তাদের মধ্যে বেশ চাঞ্চল্য লক্ষ করা গেছে। এদের মধ্যে কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার জন্য অনেক আগে থেকেই গাড়ীবহর নিয়ে বিশাল শো-ডাউনসহ জনসেবামূলক কাজ ও গরীব, দু:স্থদের মাঝে সহায্য সহযোগিতা করতে দেখা গেছে।

মনোনয়ন উত্তোলন কারীরা হলেন, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) ও রাজশাহী-২ সদর আসন থেকে সংরক্ষিত আসনের বর্তমান এমপি ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি আদিবা আনজুম মিতা। রাজশাহী-১ আসন থেকে আরেক নারী মনোনয়ন প্রত্যাশি আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটি সদস্য ও রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মীনি আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসন থেকে মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রোকসানা মেহেবুব চপলা।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসন থেকে মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন, সাবেক এমপি প্রয়াত তাজুল ইসলাম মো. ফারুকের মেয়ে তানজিমা শারমীন মুনি।

রাজশাহী-১ আসনের মনোয়নন প্রত্যাশি আদিবা আনজুম মিতা বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে জনসেবা করে আসছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে সংরক্ষিত আসনেরে এমপি বানিয়ে জনসেবার আরো সুযোগ করে দিয়েছে। আমি এলাকার সর্বসাধারণের জন্য প্রধান মন্ত্রীর নিকট থেকে বরাদ্দ নিয়ে উপকার করেছি। গোদাগাড়ীর পদ্মানদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য বরাদ্দ নিয়ে এসে কাজ করেছি।

তিনি বলেন, আমার কাছে যেই এসেছে সহযোগিতার জন্য তাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়নি। সরাসরি জনগনের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বেশী বেশী কাজ করার সুযোগ থাকে। আমার বিশ্বাস প্রধান মন্ত্রী দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মনোনয়ন দিবেন।

রাজশাহী-১ আসন থেকে নারী মনোনয়ন প্রত্যাশি আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটি সদস্য আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া বলেন, আমি বহুদিন থেকে জনগণের সেবা করার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে জনসেবামূলক কাজের পাশাপাশি ব্যাক্তিগত উদ্যেগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। ঢাকায় পিপলস রোকেয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গত ১০ বছরে ৩০০ অধিক শিশুকে লেখাপড়া করিয়ে বড় করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ নার্সিংয়ে জব করছে, অনার্সে পড়ছে এছাড়াও বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে কর্মরত আছে।

তিনি আরো বলেন, নারীদের অর্থনৈতি ভাবে স্বাবলম্বি করার জন্য পিতৃনিবার ঘনশ্যামপুরে দর্শি সেলাই প্রশিক্ষণ গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে নারীর কাজ শিখে স্বাবলম্বি হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারবে। এছাড়াও এলাকায় ফ্রি চিকিৎসায় ক্লিনিক গড়ে তোলার কথা জানানা।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রোকসানা মেহেবুব চপলা বলেন, জন্মসূত্রে আমি আওয়ামী লীগ।  ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করি। সে সময় আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনাকে ম্পর্শ করার সুযোগে হয়েছে। ছাত্রলীগ শেষ করে একাধারে ২০০০ এর পরের জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে থেকে আমি সদস্য হিসেবে ছিলাম।

এখন পর্যন্ত জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত আছি। দীর্ঘ ২৫ বছর মহিলা আওয়ামী লীগে রাজনীতির ক্যারিয়ার। আমার পিতা স্বাধীনতা পরবর্তি আওয়ামী লীগের দু:সমমে আওয়ামী লীগের মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়াও আমার পুরো পরিবার ও আত্নীয় স্বজন এখনো রাজনীতির নেতৃত্বে আছেন। এর আগে আমি দশম, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন তুলেছিলাম। সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য নবম, দশম ও একাদশ সংসদের জন্য মনোনয়ন তুলেছিলাম। এসব বিবেচনায় মনে করি আমি নির্বাচনের যোগ্য তাই দল থেকে আমাকেই মনোনয়ন দিবে বলে আশা করি।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত তাজুল ইসলাম মো. ফারুকের মেয়ে তানজিমা শারমীন মুনি বলেন, আমার এলাকায় আমার পিতার দল ও মানুষের প্রতি অনেক অবদান আছে।

এছাড়াও আমার ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে অনেক কাজ করেছেন তিনিও কিছুদিন আগে মারা গেছেন। এই এলাকার মানুষ তাদের অভাববোধ করতে। এলাকার জনগণ আমার বাবা ও ভায়ের স্বপ্ন ও অসামাপ্ত কাজ গুলো দেখছে চাই। তাই আমি তাদেরকে জনগণের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে ও অসমাপ্ত কাজ গুলো করতে নির্বাচন করতে চাই।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে