এনায়েতপুরে সংঘর্ষে ছাত্র নিহতের ঘটনায় এমপিসহ ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষে গুলিতে ছাত্র শিহাব নিহতের ঘটনায় স্থানীয় এমপি ও মন্ডল গ্রুপের এমডি আব্দুল মমিন মন্ডল তার ছোট ভাই গ্রুপের পরিচালক আব্দুল আলিম মন্ডল, চাচাতো ভাই গার্মেন্ট শিল্প এই গ্রুপের আরেক পরিচালক জোবায়ের মন্ডল সহ ৩৩ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৫শ থেকে ৭শ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন এনায়েতপুর থানার সন্তোষা গ্রামের সোলায়মান হোসেন। এনায়েতপুর থানার মামলা নং-২, তারিখ ১৯/০৮/২০২৪ইং।
মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলো সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ, বেলকুচির পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা, খামারগ্রামের আব্দুল মান্নান মোল্লা, খোকসা বাড়ি গ্রামের জয়নাল সরকার, এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আজগার আলী বিএসসি, যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, শিবপুরের হাফিজুর রহমান মাস্টার, গোপালপুরের শেখ মনোয়ার হোসেন, বেলকুচির তামাইয়ের হাজী ফজলা রহমান তালুকদার, হাজী শেখ মোহাম্মদ শামীম, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম, দুপুরে বেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল প্রামানিক, ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, চৌহালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, খাস কাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু সাঈদ বিদ্যুৎ, চৌহালী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক মোল্লা বাবুল আক্তার, খাসপুকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দাউদ সরকার, বাগুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কালাম মোল্লা, সোহালি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ চুন্নু তালুকদার, চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সুবর্ণসারা গ্রামের আব্দুল হাকিম মন্ডল, শেরনগর গ্রামের সেলিম সরকার, দৌলতপুর গ্রামের মোঃ জুয়েল, দৌলতপুর গ্রামের মোঃ মহির আলী, আমি দারিয়াপুর শাহজাদপুরের দারিয়াপুরের মোঃ আলমাস, মুকুন্দগাঁতীর মোহাম্মদ হাবিব, বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রকি।
মামলা উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে ছাত্র জনতার একটি মিছিল এনায়েতপুর হাটের আলহেরা মার্কেটের দিকে আসে। তখন আসামীরা বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গুলি বর্ষন ও হামলা চালায়। এতে মাধবপুর গ্রামের শফি মিয়ার ছেলে কলেজ ছাত্র শিহাব গুলিতে গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।