এবার শেখ হাসিনা, রেহানা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৪; সময়: ৮:৫৯ অপরাহ্ণ |
এবার শেখ হাসিনা, রেহানা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ঢাকার যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় ফলের দোকানদার ফরিদ শেখকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় আরও ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদের আদালতে মামলা করেন নিহতের বাবা সুলতান মিয়া। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলায় বাকি আসামিরা হলেন, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ডিএসসিসির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিপ্লব কুমার, সাবেক কমিশনার ডিএমপি হাবিবুর রহমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আমির হোসেন আমু, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ জুলাই শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলন চলাকালে বিকেল সাড়ে ৩টার সময় ফরিদ শেখ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজার দক্ষিণ পার্শ্বের রাস্তা দিয়ে তাঁর ফলের দোকানে যাচ্ছিল। শেখ হাসিনার নির্দেশে গণহত্যা চালানোর সময় পুলিশের গুলির আঘাতে মারাত্মক জখম হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। আশপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফরিদ শেখকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। গুলি ফরিদ শেখের পাকস্থলীর ডান পাশে লেগে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুগদা হাসপাতালে ফরিদ শেখ গত ৬ আগস্ট বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মৃত্যুবরণ করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করে পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে