পাবনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উপর হামলা ও গুলির ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে পাবনা সদর থানায় দুইটি মামলা দায়ের হলো।
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান জানান, পাবনা শহরের রাধানগর যুগীপাড়া মহল্লার সুজন হোসেন নামের এক ব্যাক্তি বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খাঁনকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় পাবনা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার গোলাম ফারুক প্রিন্স, সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শিবলী সদিকসহ ১২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদী সুজন হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট তিনিসহ অনেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অংশগ্রহন করেন। বেলা পৌনে একটার দিকে তারা শহরের লতিফ টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেন। সে সময় পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা তাদের শান্তিপূর্ন সমাবেশে গুলিবর্ষণ ও হামলা চালায়। এতে মামলার বাদী সুজন হোসেন পেটে ও তার সাথে থাকা অনিক নামের একজন মাথায় ও চোখে গুলিবিদ্ধ হয়। এ ছাড়াও সেদিন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় শতাধীক ছাত্র-জনতা আহত হয়।
উল্লেখ্য গত ৪ আগস্ট পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম (১৯) ও মাহাবুব হাসান নিলয় (১৪) নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। এই হত্যার ঘটনায় নিহত জাহিদুল ইসলামের পিতা দুলাল উদ্দিন মাষ্টার বাদী হয়ে গত ১১ আগস্ট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। অন্য সকল আসামী পলাতক আছেন।