নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধ’র্ষণ মামলায় ৬০ বছর কারাদন্ড

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪; সময়: ১:০৫ অপরাহ্ণ |
নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধ’র্ষণ মামলায় ৬০ বছর কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোরের নলডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও ভারতে পাচারের চেষ্টার অপরাধে হাফিজুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে ৬০ বছর কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

অভিযুক্ত হাফিজুলকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের দুটি ধারায় ৯ (১) ও ৭ ধারায় পৃথকভাবে দুবার যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ( জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত হাফিজুল ইসলাম নলডাঙ্গা উপজেলার বাঙ্গালখলসি গ্রামের ইমন আলীর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দন্ড্প্রাপ্ত হাফিজুল ইসলাম প্রায় তার প্রতিবেশী মামলার ভিকটিম ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রায় উত্যক্ত করতো।

২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত্রি আনুমানিক ৮টার দিকে ভিকটিম (১৩) প্রকৃতির কাজ সারতে ঘরের বাহিরে বের হলে হাফিজুল তার মুখ চেপে ধরে দুই সহযোগী সিরাজ ও সিদ্দিকের সহযোগীতায় ভিকটিমকে অপহরণ করে।

তারা ওই ভিকটিমকে যশোহরের বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় নিয়ে গিয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করে। কিন্তু সীমান্ত রক্ষিদের কড়াকড়ি অবস্থানের কারণে ভিকটিমকে বাসযোগে ঢাকায় নিয়ে আসামীর পরিচিত জনৈক মিলনের বাড়িতে নেয়।

সেখানে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর পুনরায় ভিকমকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে যশোহরে নেয়া হয়। এসময় যশোহর থানার পুলিশভিকটিমকে উদ্ধারসহ হাফিজুলকে আটক করে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে নলডাঙ্গা থানায় হাফিজুল, সিরাজ ও সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অপহরণসহ শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে হাফিজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।

মামলাটি বিচারের জন্য অত্র আদালতে প্রেরিত হলে স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে বিচারক রোববার দুপুরে আসামী হাফিজুলের বিরুদ্ধে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন -২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর দুটি ধারায় ৯ (১) ধারায় আমসামী হাফিলকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই মামলার ৭ ধারায় আসামী হাফিজুলকে আবারও যাবজ্জীবনসহ ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।

জরিমানার টাকা ভিকটিম পাবে এবং হাফিজুলের সাজা একটার পর একটা কার্যকর হবে। সেই হিসেবে তাকে ৬০ বছর কারাভোগ করতে হবে। আসামী হাফিজুলের উপস্থিতিইে রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ বিচারক।

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে