মানুষ আর বিএনপিকে ভোট দেয় না : প্রধানমন্ত্রী
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০টি পেয়েছিলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ তাদের আর ভোট দেয় না। কেননা তারা ভোট চোর, জঙ্গি, লুটেরা। আমার কোনো ভয় নেই। আমি মানুষের জন্য কাজ করি। দেশের অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না। অতন্দ্র প্রহরী হয়ে ছাত্রলীগকে সজাগ থাকতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ভোট করতে আসেনা। তারা জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়। বিএনপি নাকি গণতন্ত্রের কথা বলে। যাদের জন্মই সেনা স্বৈরশাসকের হাতে তারাই নাকি আবার গণতন্ত্র উদ্ধার করবে।
নিজের নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম আর অর্জনের সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত। যেকোনো দুর্যোগে ছাত্রলীগ সক্রিয় থাকে। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের তারুণ্যের শক্তি এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছি মানুষের জন্য। অথচ এটা নিয়েো বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। নিজেরা কিছু করতে পারে না, আর আমরা মানুষের জন্য করতে গেলে সেটা নিয়ে বিভ্রান্ত করছে। সর্বজনীন পেনশন স্ক্রিম নিয়ে বিএনপির বিভ্রান্তিতে কেউ যেন কান না দেয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলো, আর আমি ছাত্রলীগের হাতে বই, খাতা তুলে দিয়েছিলাম। অশিক্ষিতদের হাতে দেশ পড়লে দেশের অগ্রযাত্রা হতে পারে না। খালেদা জিয়া দেশকে দুর্নীতি পরপর পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন করেছিলো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিলো অস্ত্রের ঝনঝনানি। সারাদেশ ছিলো জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা দেখি মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু ১৫ আগস্টের পর তো আমরা বিচার চাইতে পারিনি। তবে কোনো বাধা আমাকে আটকাতে পারেনি। আমি মৃত্যুকে ভয় করিনি। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরেছি। দেশে ফেরার পর সারাদেশ ঘুরেছি। দেখতে চেয়েছি বাবা-মার রক্ত নিয়ে তারা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পেরেছে কি না।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৭৫ এর পর যে ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করা হয়েছিলো, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা ব্যাংকের এমডির জন্য বারবার আমাদের ওপর চাপ দিয়েছিলো বিশ্বব্যাংক আর একটা বড় দেশ। ইউনুসের কথা শুনে হিলারি ক্লিনটন বিশ্ব ব্যাংককে বলে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিয়েছিলো। পরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে দেখিয়ে দিয়েছি, বাঙালিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এখন অন্ধ, দেশের উন্নয়ন দেখে না, আসলে তাদের মনের দরজাই অন্ধকার। যারা দেশের উন্নয়ন দেখে না তারা পরাজিত শক্তির পদলেহনকারি।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট, আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন জ্ঞানভিত্তিক দেশ।