নিষিদ্ধের পর জামায়াতের মোকাবেলা ‘জঙ্গি সংগঠন’ হিসেবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৪; সময়: ৩:০৯ অপরাহ্ণ |
নিষিদ্ধের পর জামায়াতের মোকাবেলা ‘জঙ্গি সংগঠন’ হিসেবে : প্রধানমন্ত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : নিষিদ্ধ ঘোষণার পর জামায়াত-শিবির ‘আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে ধ্বংসের চেষ্টা করবে’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেরকে মোকাবেলা করতে হবে ‘জঙ্গি সংগঠন’ হিসেবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়ির কেআইবি ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার জন্য জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে দায়ী করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। নির্বাহী আদেশে সেই নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন শিগিগরই আসবে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এরা তো জঙ্গিবাদি হিসেবে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে আবার ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। সেখানেও জঙ্গি সংগঠন হিসেবে এদেরকে মোকাবেলা করা ও মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা সকলে মিলে করতে হবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলার মাটিতে জঙ্গিদের ঠাঁই হবে না। সেইভাবে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমি দেশবাসীকে সজাগ থাকতে বলব, তাদের সহযোগিতা চাই।”

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা এ দলকে ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে। আর এবার দলটিকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে জন নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা করে।

সে প্রসঙ্গ ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি জানি বার বার আঘাত আসবে, আমি পরোয়া করি না। আল্লাহ জীবন দিয়েছে, একদিন নিয়েও যাবে। কিন্তু যেখানে মানুষের জন্য কল্যাণের কাজ, সে কল্যাণের কাজ আমরা করেই যাব।”

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনার স্মরণে শোকের মাসের কর্মসূচি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সে কথা তুলে ধরে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “১ অগাস্ট রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা শোকের মাস শুরু করেছি। সকল সংগঠনের নেতাদের এই শোকের মাসে শুধু শোক পালন নয়, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জাতির পিতার আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হবে।”

“জাতির পিতা তো এ জাতির জন্য কাজ করে গেছেন। কাফনের কাপড় ছাড়া কিছুই নিয়ে যাননি। শুধু দিয়েই গেছেন। তার সেই আদর্শ আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।”

কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মুল কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কৃষি সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক সময়ে নিহতদের স্মরণে ও ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে